এই কারণেই অবসর পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন মালিঙ্গা
টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ২০১০ সালে। চলতি বছরেই ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকেও তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
নয়াদিল্লি: দলের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে অবসর পিছিয়ে দিচ্ছেন কিংবদন্তী ক্রিকেটার লসিথ মালিঙ্গা। টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ২০১০ সালে। চলতি বছরেই ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকেও তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এমনও শোনা গিয়েছে, আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেই নাকি ক্রিকেটকে একাবারে বিদায় জানাবেন তিনি। আর সেটা হলে আগামী বছর নভেম্বরেই তাঁর দীর্ঘ ১৬ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে দাঁড়ি পড়বে। তবে সেটা নাও হতে পারে। দেশের ক্রিকেটের টালমাটাল পরিস্থিতিতে দলের পাশে আরও বেশ কিছু বছর থাকতে চাইছেন লসিথ মালিঙ্গা।
একটি স্পোর্টস চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীলঙ্কার এই কিংবদন্তী জানিয়েছেন, “দলের এখন দক্ষ বোলারের অভাব। ধারাবাহিকতাও নেই। এটা আশা করা যায় না, এক দেড় বছরের মধ্যেই এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। ধৈর্য্য ধরতে হবে। আগামী দুই তিন বছরের মধ্যে এই সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। আমার মনে হয় নির্বচাকদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।” একই সঙ্গে তিনি জানান, “আমি বিশ্বাস করি যদি তরুণদের আমার কিছু দেওয়ার থাকে, তাহলে সেটা দলে থেকেই দিতে পারব। আমি তাদের বলতে পারব এবং দেখাতেও পারব কীভাবে খেলাটা খেলতে হয়। কিন্তু আমি যদি নাই খেলি, তবে তা সম্ভব নয়।”
এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা কয়েকজন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টদের মধ্যে মালিঙ্গা নিঃসন্দেহে অন্যতম একজন। তিনিই একমাত্র বোলার, যার ঝুলিতে রয়েছে একশোর ওপরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি উইকেট। আইপিএল তো বটেই সারা বিশ্বেই পেশাদার টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে খেলে এই ফরম্যাট মালিঙ্গার একেবারে নখদর্পণে। দেশকে নেতৃ্ত্ব দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বজয়ীও (২০১৪) হয়েছেন। ৩৬ বছরের এই বোলার বলছেন, ৪ ওভার বল করার মতো দক্ষতা তাঁর আছে এবং তিনি ফিট। অধিনায়ক হিসেবে দলকে নেতৃত্বে দেওয়ার ক্ষেত্রেও আত্মবিশ্বাসী তিনি। যেহেতু বিশ্বের একাধিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন, ফলে আরও দুই বছর তিনি অনায়েসেই খেলে যেতে পারবেন।