AIFF: ক্ষমতাচ্যুত সিওএ, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে কি নির্বাসন উঠবে ভারতীয় ফুটবলের?
AIFF 2022: প্রাক্তন ফুটবলারদের ভোটাধিকার না দেওয়ারও দাবি জানিয়েছিল তারা। এবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে সিওএ-র আর কোনও ক্ষমতা থাকছে না।
নয়াদিল্লি: কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (সিওএ)-কে সরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ নিয়েই ফিফার আপত্তি ছিল। ফিফার (Fifa) আপত্তির কারণেই নির্বাসিত করা হয়েছিল এআইএফএফকে। সিওএ সরে যাওয়ায় নির্বাসন (Suspention) ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হল। গত রবিবার কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আর্জি জানানো হয়েছিল ফিফার সমস্ত দাবি মেনে নিতে চেয়েছিল তারা। প্রাক্তন ফুটবলারদের ভোটাধিকার না দেওয়ারও দাবি জানিয়েছিল তারা। এবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে সিওএ-র আর কোনও ক্ষমতা থাকছে না।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের মাসের ২৭ তারিখ ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে নির্বাচন হওয়ার কথা। এরপরই হয়ত ফিফার নির্বাসন ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। ভোটের জন্য এরমধ্যেই ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে। সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া ও প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে ও গোয়ার ফুটবল প্রশাসক ভালাঙ্কা আলেমাও। নির্বাচন পরিচালনা করবেন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সচিব। ৩৬ সদস্যের ভোটার তালিকা তৈরি হবে।
ফিফা নির্বাসিত করেছে ভারতীয় ফুটবলকে
এআইএফএফ-এ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে তাদের নির্বাসিত করেছে ফিফা। ফিফার তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল AIFF-এ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণেই নির্বাসিত করা হচ্ছে এআইএফএফকে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এই নির্বাসন বহাল থাকবে বলে ফিফার তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ফিফার নির্বাসন বহাল থাকলে ভারতে নির্ধারিত অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্বকাপ স্থগিত হতে পারে। আপাতত তৈরি ঘোর অনিশ্চয়তা। ফিফার নির্বাসন বহাল থাকলে ভারতীয় ফুটবল দলের র্যাঙ্কিং ফের শূন্য থেকে শুরু হবে। কোনও ক্লাবই কোনও বিদেশি ফুটবলারকে সই করাতে পারবে না। যে বিদেশি ফুটবলাররা ইতিমধ্যেই সই করেছেন, তাঁরা অন্য কোনও দেশে খেলতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, আগেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিওএ নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেছে। বিগত কয়েকদিনে সমস্ত স্টেকহোল্ডার, ফিফা-এএফসি, ফেডারেশনের সঙ্গে সিওএ-র আলোচনা পরেও এই সিদ্ধান্তে কমিটি ভীষণভাবেই হতাশ ও বিস্মিত। ৩৬ রাজ্যের প্রতিনিধি দ্বারা গঠিত ইলোকটোরাল কলেজের মাধ্যমেই ফেডারেশনের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কথা ছিল। ফিফার তরফে জানানো হয় ছয়জন প্রসিদ্ধ খেলোয়াড়সহ (যাদের মধ্যে অন্তত দুইজন মহিলা), মোট ২৩ সদস্যের ইলেকটোরাল কলেজের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ফিফার নিয়ম মেনেই আয়োজনের সমস্ত বন্দোবস্ত করা শুরু হলেও, এই ব্যানে সিওএ বিস্মিত হয়েছিল।