Facebook: এই বছর ২০ লক্ষ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে মেটা, কারণ কী ?
Pig Butchering Scam: এই ধরনের জালিয়াতি রুখতে বিশ্বের সমস্ত ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে তদন্ত করছে মেটা। কড়া পদক্ষেপ করেছে মেটা। ফেসবুকে সংযুক্ত আছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
Meta News: ফেসবুকের প্যারেন্ট সংস্থা মেটা এই বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ২০ লক্ষেরও বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের বেশ কিছু জালিয়াতি কেন্দ্রের এই সমস্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে মেটা (Meta News)। এই ধরনের অ্যাকাউন্ট অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই অ্যাকাউন্ট (Facebook Account) থেকে মানুষকে ঠকানো, প্রতারণামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট। এই ধরনের জালিয়াতিকে বলা হয় 'পিগ বুচারিং স্ক্যাম'। এর মাধ্যমে জালিয়াতরা মেসেজিং অ্যাপ, ডেটিং অ্যাপ, সমাজমাধ্যম এবং ক্রিপ্টো অ্যাপের মাধ্যমে মানুষকে আর্থিকভাবে প্রতারিত করা হয়।
এজেন্সির সঙ্গের কাজ করছে মেটা
এই ধরনের জালিয়াতি রুখতে বিশ্বের সমস্ত ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে তদন্ত করছে মেটা। কড়া পদক্ষেপ করেছে মেটা। ফেসবুকে সংযুক্ত আছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে কাজ করে এই ফেসবুক। আর এই অ্যাপের মাধ্যমেই বিভিন্ন প্রকারের আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে।
কী এই পিগ বুচারিং জালিয়াতি
মূলত মেসেজিং অ্যাপ, ডেটিং অ্যাপ, সমাজমাধ্যমের দ্বারা মানুষকে প্ররোচিত করে কোনো প্রতারণামূলক স্কিমে বিনিয়োগ করানো হয় এবং এর মাধ্যমেই আর্থিক প্রতারণা করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের বিনিয়োগ করানো হয় ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। আর একবার কোনো ব্যক্তি এই ধরনের স্কিমে বিনিয়োগ করলে সেই টাকা গায়েব হয়ে যায়। সর্বস্বান্ত হন ব্যক্তিরা। প্রথমে অনলাইন মাধ্যমে আস্থা অর্জন করে এই সব জালিয়াতরা, তারপর আপনাকে টাকা বিনিয়োগ করার টোপ দেয় এবং সেখানে আপনি বিনিয়োগ করলেই আপনি সর্বস্বান্ত হবেন। এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে চাকরি খুঁজছেন এমন ব্যক্তিদেরকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা আদায় করে অনৈতিকভাবে। মেটা এই ধরনের প্রতারণামূলক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করতে শুরু করেছে এবং এই অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেটা এই জালিয়াতি রুখছে
মেটা জানিয়েছে যে খুব সংহত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সংস্থা এই ধরনের জালিয়াতি বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
প্রথম ধাপ হল ডেঞ্জারাস অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইন্ডিভিজুয়াল পলিসি যাতে কিছু কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালায় এমন প্ল্যাটফর্ম চিহ্নিত করে তা বন্ধ করা।
দ্বিতীয় ধাপে সমাজমাধ্যম প্রোফাইলগুলি সবসময় সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাতে কোনো জালিয়াতি করা হচ্ছে কিনা তা বোঝা যায়।
ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির সঙ্গে যৌথভাবে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা। এক্ষেত্রে বহু টেক কোম্পানিও মেটাকে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: Vivo Phones: ভারতে হাজির ভিভো-র নতুন ফোন, কেনার সময় একগুচ্ছ অফার পাবেন ক্রেতারা