(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Flood Situation: হুগলির তারকেশ্বর থেকে দুই মেদিনীপুর, দিকে দিকে শুধুই জল আর মানুষের দুর্ভোগের ছবি। ABP Ananda Live
হুগলির তারকেশ্বর থেকে দুই মেদিনীপুর, দিকে দিকে শুধুই জল আর মানুষের দুর্ভোগের ছবি। পাঁশকুড়া স্টেশন, বিডিও অফিস-সহ শহরের ১৮টি ওয়ার্ডই জলমগ্ন। ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, আগামী দিনে কী খাবেন, তা নিয়ে আশঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
জেলায় জেলায় বন্য়া পরিস্থিতিতে দিকে দিকে শুধু হাহাকার। দুর্ভোগের একই ছবি হুগলির তারকেশ্বরে। সেখানকার বাসিন্দা বিকাশ পাত্র বলেন,'পরিস্থিতি খারাপ, একেবারে নির্ভয়ে থাকা যাবে না। একদম যে নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে থাকব, সেই অবস্থা নেই। এখনই বলা যায় না, আবার সন্ধেবেলা জল ছাড়তে পারে।'
পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি-হাওয়ার পাশাপাশি, ডিভিসির ছাড়া জলে দুই মেদিনীপুরেও বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। পাঁশকুড়ার গড় পুরুষোত্তমপুরে কংসাবতীর বাঁধ ভেঙেছে। জল বইছে জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, আগামী দিনে কী খাবেন, তা নিয়ে আশঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। পাঁশকুড়ার মঙ্গলদ্বারির বাসিন্দা শঙ্কর সামন্ত বলেন, 'আমাদের এই বন্যাটা প্রতি বছর, গত বছরও হয়েছে। এতটা হয়নি, সব নষ্ট হয়েছে। এবছরও একই। একদম পরিকল্পনা করে নদীর বাঁধ ভাঙা হয়েছে। যখন ঘোগ পড়ে, তখন কোনও কিছু দেওয়া হয়নি।' পাঁশকুড়া স্টেশন, বিডিও অফিস-সহ শহরের ১৮টি ওয়ার্ডই জলমগ্ন। ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। দেখা দিয়েছে খাবার জলের সমস্যা। পরিস্থিতি মোবাবিলায় নামানো হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা NDRF. বানভাসী বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উঁচু জায়গায়।