Prosenjit Chatterjee Exclusive: আমার ছেলে হলেও অভিনেতা নয়, মিশুক চায় ফুটবলার হতে: প্রসেনজিৎ
পাশাপাশি দুটো ঘর আর একফালি করিডোর। সেখানে সারি দিয়ে সাজানো পুরস্কার। কালো ফ্রেমে বড় বড় করে বাঁধানো রয়েছে যেসব সিনেমার পোস্টার, তার অধিকাংশই ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparna Ghosh) পরিচালিত। পাশের ঘরে পা দিতেই চোখ আটকে যায় দেওয়াল জোড়া ছবিটার দিকে। এক ফ্রেমে ঋতুপর্ণ আর তিনি। নিচে একটা বোর্ডে তাঁর বিখ্যাত 'অটোগ্রাফ'। তলায় লেখা, তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বোর্ডের এককোণে লেখা, জয় মোহনবাগান। নায়কের অফিসের একাংশে জায়গা করে নিয়েছে ফুটবলও। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ডাক পড়ল। ঘরের সব আলো যাঁর দিকে তাক করা, তিনি ঠিক মাঝখানে চেয়ারে বসে রয়েছেন। পায়ের ওপর পা তুলে। নির্বিকার। চোখে চশমা। সাদা শার্টের ওপর নীল জ্যাকেট। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। টলিউডের 'ইন্ডাস্ট্রি'। অনুরাগীদের 'বুম্বাদা' (Bumbada)। প্রায় ২ বছর পর ফের ক্যামেরার সামনে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে একের পর এর ছবির শ্যুটিং শেষ করছেন তিনি। লাইটস, ক্যামেরা অ্যাকশান শুনে কেমন লাগছে? প্রসেনজিৎ বললেন, 'গত দেড় বছর শ্যুটিং ছাড়া থাকাটা খুব কঠিন ছিল। আমি এমনই একটা মানুষ, যে প্রায় ৪০ বছর ধরে কেবল শ্যুটিং করে আসছি। এটার বাইরে আমি আর কিছু জানি না, পারিও না। গত দেড় বছরে শ্যুটিং ছাড়া যেন ডিপ্রেশানে চলে যাচ্ছিলাম। আমি খুব বেছে ছবি করি, তাই রোজ শ্যুটিং করতে হয়। তবে শ্যুটিংয়ের আগের পরের প্রস্তুতি, সবার সঙ্গে মেশা.. বাড়িতে থেকেছি কতক্ষণ! তারপর আস্তে আস্তে সুরক্ষাবিধি মেনে শ্যুটিং শুরু হল। শুধু কলকাতা নয়, বম্বেতেও আমার একটা কাজ চলছে। কাজ ভালো হলে শ্যুটিং, মেকআপ, স্টুডিও, স্টুডিও চা বুম্বাদার খুব ভালো লাগে এটা সবাই জানে।'