Jhargram News:খুনের অপরাধে দশ বছরের কারাবাস শোনাল ঝাড়গ্রাম অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশনস কোর্ট
Murder Convict Awarded Jail Sentence:খুনের অপরাধে দশ বছরের কারাবাসের সাজা দিল ঝাড়গ্রাম অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশনস কোর্ট। সাজাপ্রাপ্তের নাম রঞ্জিত কদমা।
অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: খুনের (Murder) অপরাধে দশ বছরের কারাবাসের সাজা দিল ঝাড়গ্রাম (Jhargram) অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশনস কোর্ট (Court)। সাজাপ্রাপ্তের নাম রঞ্জিত কদমা। ২০০৯ সালের ২৩ জুন ঝাড়গ্রামের শিলদা এলাকায় রানী রাজুয়ার নামে এক মহিলাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে রঞ্জিতের বিরুদ্ধে।
কী বলছে রঞ্জিত?
রঞ্জিত কদমা-সহ পাঁচ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বিনপুর থানায়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মূল অভিযুক্ত-সহ বাকিদের গ্রেফতার করে। তদন্তে উঠে আসে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন হন রানী। ২০১৩ সালের ২১ মার্চ এই মামলার চার্জ গঠন হয়েছিল। মোট আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। গত কাল এই খুনের মামলায় ঝাড়গ্রাম সেশন জাজ রঞ্জিত কদমাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ছ'মাসের কারাদণ্ড নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মাধ্যমিকের ফল এবিপি আনন্দ-এ
অন্যান্য বছরের মতো এবারও পরীক্ষার্থীদের পাশে এবিপি আনন্দ। ফল জানা যাবে এবিপি আনন্দের ওয়েবসাইটে।বেলা ১২ টা থকে ফল জানা যাবে এবিপি আনন্দর ওয়েবসাইট- http://bengali.abplive.com -এ। তার জন্য দিতে হবে জন্ম তারিখ ও রোল নম্বর।
ডাইনি অপবাদে 'খুন'...
চলতি মাসের গোড়াতেই ডাইনি অপবাদে বৃদ্ধা মহিলাকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে ঝাড়গ্রাম জেলা আদালত। মূলত, ডিজিট্যালের যুগেও যে, কুসংস্কার আর অন্ধত্ব যে কত মানুষের প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ ঝাড়গ্রামের এই ঘটনা। যদিও শেষ অবধি 'বিচার' পেল নিহতের পরিবার। সচেতনতার আলো তখনও পৌঁছায়নি গ্রামে। ২০১৭ সাল। ওই বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখ ঘটে গিয়েছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের নয়াগাতে রাধাকান্ত বেরা নামে এক ব্যক্তি ডাইনি অপবাদে পাশের বাড়ির তরুবালা বেরাকে জোর করে টানতে টানতে গ্রামের শিবমন্দিরে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেহ থেকে গলা আলাদা করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরে মৃতার মেয়ে আরতি বেরার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।উদ্ধার করা হয় অস্ত্র। রাধাকান্ত-সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলার কেস রুজু করা হয়।প্রায় ৬ বছর ধরে বিচার চলে। মোট ১৯ জন স্বাক্ষী দেয়। সাঁকরাইল থানার পুলিশ খুব দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করে। এদিকে, ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল অর্থাৎ ঘটনার ২ মাসের মাথায় উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ার ফলে অভিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে ৩ জনকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মূল অভিযুক্ত রাধাকান্ত বেরার মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন ঝাড়গ্রাম আদালতের ফার্স্ট কোর্টের বিচারক। তবে শুধুই ২০১৭ সাল নয়, ২০২৩ সালেও এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বীরভূম জেলাতেও।
মাধ্যমিকের ফল জানতে ক্লিক পড়ুন:মাধ্যমিকের ফল সরাসরি এবিপি আনন্দের ওয়েবসাইটে
আরও পড়ুন:অনলাইনে ২৫ কোটির আম অর্ডার করলেন ভারতীয়রা! সবচেয়ে বেশি বিকোল আলফানসো