Jyotirmay Singh Mahato : 'বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশে অনুপ্রবেশ', অমিত শাহকে চিঠি বিজেপি সাংসদের
Amit Shah: 'বেআইনি অনুপ্রবেশের ফলে এইসব অঞ্চলের সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে', অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে এমনই দাবি...
শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : রাজ্যে অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। গত কয়েক বছর ধরে জঙ্গলমহলে ক্রমাগত অনুপ্রবেশ হয়ে চলেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ। 'বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশে অনুপ্রবেশ। এই অঞ্চলগুলি দীর্ঘদিন ধরেই আদিবাসী মানুষদের সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র। বেআইনি অনুপ্রবেশের ফলে এইসব অঞ্চলের সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।' অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে এমনই দাবি করেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Unrest)। তারপর আস্তে আস্তে তা সরকার বিরোধী আন্দোলনের রূপ নেয়। যার জেরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। হাসিনা পদত্যাগ করার পরপরই বাংলাদেশ ছাড়তে আরম্ভ করে ছোট-বড় আওয়ামি লিগের প্রায় সমস্ত নেতা-নেত্রী। যার মধ্যে বেশিরভাগ আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। আর এর মাঝেই অশান্তির ঝাঁঝ আরও বাড়ে বাংলাদেশে। এই সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতিতে জলপথের সাহায্যে কেউ যাতে বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য কড়া নজরদারি চালায় প্রশাসন ও উপকূলরক্ষী বাহিনী। বাংলাদেশের পরিস্থিতির জেরে তখন সুন্দরবনের জলপথে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। সুন্দরবনের সব জলপথে তল্লাশি চালায় পুলিশ। নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী আন্তর্জাতিক জলপথের অংশ। ওই এলাকাতেও চলে জোর তল্লাশি।
ANI-সূত্রে জানা যায়, একজন সিনিয়র বিএসএফ অফিসার জানান, উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ বাংলাদেশ সীমান্তের নানা জায়গায় বাংলাদেশের বহু নাগরিক ভিড় করেছিলেন। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিএসএফ-এর সাহায্য়ে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
জলপাইগুড়ির মানিকগঞ্জ সীমান্তেও অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়। সেখানে প্রায় ১২০০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটকায় বিএসএফ। কাঁটাতার না থাকায় চিলডাঙা গ্রামে জিরো পয়েন্টে ঢোকার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সীমান্ত পেরনোর আগেই অনুপ্রবেশকারীদের আটকে দেয় বিএসএফ। অনুপ্রবেশ রুখতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সতর্ক করে বিএসএফ (BSF)। বিএসএফ-এর ৯২ ব্যাটেলিয়ানের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট মনোজ কুমার গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সচেতন করেন। সবদিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। নতুন লোক দেখলে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যাতে অনুপ্রবেশকারীদের চেনা যায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।