Rupee Rises Up: ডিসেম্বরের পর প্রথম লাফ ভারতীয় মুদ্রার দরে, ডলারের সাপেক্ষে এখন কত হল টাকার দাম ?
Rupee Rises Above 85 Mark: ফরেক্স ট্রেডাররা লক্ষ্য করেছেন কর আরোপের কারণে নানা দেশে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে আর তাই বিশ্ব বাজারে মার্কিন ডলারের দামে পতন এসেছে।

Rupee Against Dollar: ডলারের নিরিখে টাকার দাম অনেকটাই কমে গিয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে। ৮৭ টাকার স্তরে নেমে এসেছিল ভারতীয় মুদ্রার দর। তবে এবার ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পরে প্রথমবার টাকার দাম ফের লাফ দিল। ৮৫ টাকার স্তরে উঠে (Rupee Rises Up) এল টাকার দাম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর আরোপের কারণে বিশ্বজুড়ে যে দোলাচল দেখা দিয়েছে তার ভিত্তিতেই ডলারের দামে অনেক পতন এসেছে আর টাকার দামে (Rupee Against Dollar) এসেছে বড় উত্থান। বাজারে ভারতীয় মুদ্রার দরে অনেকটাই স্বস্তি এবার।
শুক্রবারের সকালে মার্কিন ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দাম উঠে আসে ৮৪.৯৬ টাকায়। অপরিশোধিত তেলের দামে পতনের কারণে এই ডলারের দাম অনেকটা পড়ে গিয়েছে আজকের বাজারে। বিশ্ববাজারে মার্কিন মুদ্রার দরেও পতন এসেছে। ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯৯ শতাংশ দেশের উপরে কর আরোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এই কর আরোপের তালিকা থেকে বাদ যায়নি ভারতও। বাণিজ্য ক্ষেত্রে বৈষম্যে সমতা আনতে এই কর আরোপ করেছে আমেরিকা। বাজার বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে এই ঘোষণার কারণে বিশ্বব্যাপী এক ভয়ানক বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার আশঙ্কা
ফরেক্স ট্রেডাররা লক্ষ্য করেছেন কর আরোপের কারণে নানা দেশে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে আর তাই বিশ্ব বাজারে মার্কিন ডলারের দামে পতন এসেছে, আগামীতে মার্কিন দুনিয়ায় বড় মন্দাও আসতে পারে বলে অনেকের ধারণা। এছাড়া ট্রেড পার্টনারদের সঙ্গে খুচরো শুল্কনীতির কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য স্তিমিত হয়ে যাবে যা মন্দা ডেকে আনতে পারে।
আন্তঃব্যাঙ্ক ফরেইন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে মার্কিন ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দর আজ সকালে খোলে ৮৫.০৭ টাকায়। তারপর আরও গতি নেয় ভারতীয় মুদ্রা, ৮৪.৯৬-এর স্তরে উঠে আসে। আগের দিনের ক্লোজিং থেকে ৩৫ পয়সা বেড়ে যায় টাকার দাম। বৃহস্পতিবার টাকার দাম মার্কিন ডলারের নিরিখে ২২ পয়সা বেড়ে ৮৫.৩০ টাকায় বন্ধ হয়। বিশ্বের ৬০টি দেশের উপরে পারস্পরিক কর আরোপের সিদ্ধান্তের কারণেই এই অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
ডলার সূচকেও ০.৪২ শতাংশ পতনে এসেছে। অপরিশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ০.৮৪ শতাংশ কমে এসেছে। ফলে আগামীতে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের সুদ আরও কমাতে পারে, মনে করা হচ্ছে বছরে চারবার সুদ কমানোর পরিকল্পনা করছে ফেডারেল ব্যাঙ্ক যা শুরু হতে পারে আগামী জুন মাস থেকেই।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
