Buddhadeb Bhattacharjee: নেতাদের মাতব্বরি, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, জমি বিতর্ক...৩৪ বছরের বাম সাম্রাজ্যের পতন নিয়ে যা বলেছিলেন বুদ্ধদেব
Buddhadeb Bhattacharjee Demise: পশ্চিমবঙ্গে কেন বাম শাসনের অবসান ঘটল, ২০১৩ সালে এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা ব্যাখ্যাও করেছিলেন।
কলকাতা: প্রয়াত পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee Demise)। ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই নয় শুধু, ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবনের জন্য়ও জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ ভাবে পরিচিতি রয়েছে। কারণ তাঁর হাতেই রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম রাজত্বের সমাপ্তি ঘটে। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে আক্রমণের রেওয়াজ থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গে লালদুর্গের পতনের জন্য আত্মবিশ্লেষণেও পিছপা হননি তিনি। পশ্চিমবঙ্গে কেন বাম শাসনের (CPM) অবসান ঘটল, ২০১৩ সালে এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা ব্যাখ্যাও করেছিলেন। রইল সেই সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ— (Buddhadeb Bhattacharjee)
প্রশ্ন: ৩৪ বছরের বাম সাম্রাজ্যের পতন, কোথায় ভুল ছিল? কোন কোন ক্ষেত্রে অনুতপ্ত?
বুদ্ধদেব: অনেকগুলো ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল। শিল্পায়নের ক্ষেত্রে অন্তত দু'-একটি জায়গায় আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল, সচেতন হওয়া উচিত ছিল। যেমন, জমিতে হাত না দিয়েও, এমনটা একটা প্রচার হয়ে গেল নন্দীগ্রামে, ভাবা যায় না। অর্থাৎ আমাদের বিরুদ্ধে জমিটা প্রস্তুত ছিল।
প্রশ্ন: ঔদ্ধত্য, দুর্নীতির যে অভিযোগ?
বুদ্ধদেব: সেটা একটা দিক, সরকারের একটা দিক। মূলত জমিকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে থেকে বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছিল। দলে একটা ট্রেন্ড বা প্রবণতা লক্ষ্য করেছিলাম। যেমন, সাধারণ নাগরিক জীবনে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ, মাতব্বরি। এক এক করে, এলাকা ধরে, অঞ্চল ধরে এইসব মাতব্বরি, অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।মানুষ এসব একেবারে চান না। সবকিছুতে, প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিপিএম হাত বাড়াচ্ছে, এ হতে পারে না বন্ধ করতে হবে। সেগুলো আমরা শোধরাচ্ছি।
প্রশ্ন: এখন ক্ষমতা থেকে সরে গিয়ে বেনোজলের কথা বলা হচ্ছে। ক্ষমতায় দল না থাকলে রাজনৈতিক সুবিধে নেওয়ার লোকজন এমনিতেই সরে যান।
বুদ্ধদেব: কিছু সরে গিয়েছে, কিছু এখনও সরেনি। জেলা, অঞ্চল ধরে সেগুলো নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে আমাদের।
আজ সকাল ৮টা ২০-তে প্রয়াত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসে সংক্রমণে ভুগছিলেন বুদ্ধবাবু। গতকাল থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বুদ্ধদেববাবুর দেহদান করে গিয়েছিলেন আগেই। গবেষণার কাজে তাঁর দেহদান করা হবে। গোটা বিষয়টি তদারকি করছে সিপিএম। কোন হাসপাতালকে বুদ্ধদেববাবুর দেহ তুলে দেওয়া হবে, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন দলে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।