Sreemoyee on Dolyatra: দোলেই জেনেছিলাম, মা হচ্ছি! আর এবার কৃষভির জন্য কাঞ্চন কিনেছে রঙিন জামা: শ্রীময়ী
Sreemoyee Chottoraj and Kanchan Mallick: গতবছর দোলের পরের দিনটা বড্ড মনে পড়ছে শ্রীময়ীর। অভিনেত্রীর কথায়, 'হোলির দিন আমার প্রেগন্যান্সি টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এল'

কলকাতা: ঠিক এক বছর আগের কথা। দোলের পরের দিন, অর্থাৎ হোলির দিন প্রথম টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি জানতে পারেন, তাঁরই ভিতরে বেড়ে উঠছে ছোট্ট একটা প্রাণ। গায়ে কাঁটা দিয়েছিল। তারপরে প্রত্যেক মাসে ইউএসজি করতে যাওয়া, একটা বিন্দু থেকে একটা শিশু হয়ে উঠতে দেখা, প্রত্যেক মুহূর্তে তাকে নিজের শরীরের মধ্যে অনুভব করা.. সময়টা যেন দেখতে দেখতে হুশ করে চলে গেল। গত দোলে যে ছিল একটা বিন্দু, এই দোলে সে কোলে। হাসছে, খেলছে... তাকিয়ে আছে অবাক চোখে। এই দোল.. তাঁর কাছে বিশেষ। এই দোল, শ্রীময়ী চট্টরাজের (Sreemoyee Chottoraj) মাতৃত্বের অনুভূতির এক বছর।
গতবছর দোলের পরের দিনটা বড্ড মনে পড়ছে শ্রীময়ীর। অভিনেত্রীর কথায়, 'হোলির দিন আমার প্রেগন্যান্সি টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এল। তার পরের দিনই গেলাম USG করাতে। তখন তো কৃষভি একটা ছোট্ট বিন্দু। কিছু বোঝাই যায় না। কিন্তু ওই যে.. আমার ভিতরে একটা প্রাণ বেড়ে উঠছে, এই অনুভূতিটাতেই শিহরিত হয়েছিলাম। বাড়ির সবাই ভীষণ খুশি। এই দোলে সেই কৃষভিকেই রঙ ছোঁয়াতে পারব না। আসলে ও এতটাই ছোট, চিকিৎসক বলেছেন ওকে আবির ও ছোঁয়ানো যাবে না। যদি অ্যালার্জি বেরিয়ে যায়। তবে কাঞ্চন (Kanchan Mallick) ওর জন্য দোলে রঙিন জামা কিনে এনেছে। সেই জামাটাই পরাব ওকে। রঙ বলতে ওই টুকুই। ওর সামনে আবির ও খেলা যাবে না। খুব মনে পড়ছে, গত বছর আবিরে রঙিন হওয়ার পরের দিনই জানতে পেরেছিলাম কৃষভি আসছে। এখন ও কোলে। সময়টা কী তাড়াতাড়ি পেরিয়ে গেল। ভীষণ মিস করি ওই শরীরের মধ্যে একটা শিশুকে অনুভব করার অনুভূতি।'
এই বছর দোলে কী পরিকল্পনা? শ্রীময়ী বলছেন, 'প্রত্যেক বছরের মতো বাড়িতে পুজো হবে। পুজোর সময় মা কৃষভিকে কোলে নিয়ে বসে। কাঁসর ঘন্টা বাজে, ও অবাক হয়ে দেখে। সরস্বতী পুজোর সময় ওকে ধুতি পাঞ্জাবি পরে বসিয়েছিলাম। খুব অবাক হয়ে দেখছিল, চারিদিকে এত আওয়াজ, এত কথা। এই বছর খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণিমা ছেড়ে যাচ্ছে। খুব সকালে আমাদের পুজো হবে। ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়ে তারপরে নিজেরাও একটু আবির খেলব। তবে পরের দিন কাঞ্চনের শ্যুটিং আছে। ফলে রঙ খেলা যাবে না, উঠবে না। আমি এমনিতেও রঙ খেলা পছন্দ করি না। আর এবার তো কৃষভি রয়েছে, কিন্তু ওর রঙ খেলার বয়স হয়নি। ওকে ছাড়া কিছুই ইচ্ছা করে না এখন।'
দেখতে দেখতে চার মাস বয়স হয়ে গেল কৃষভির। এবার কী কাজে ফেরার পরিকল্পনা করছেন শ্রীময়ী? অভিনেত্রী বলছেন, 'দেখছি। কৃষভি আসলে দিনে ঘুমায়, রাতে জাগে। তাই ওর জন্য আমাকেও রাতে জেগে থাকতে হয়। সেই রুটিনটা বদলাতে হবে কাজে যোগ দিলে। মায়ের কাছেই বেশিরভাগ সময়টা থাকে কৃষভি। তবে ওকে ছেড়ে কাজে যেতে হবে ভাবলেই মন কেমন করছে। আমার মা বলে, ও আমার পুতুল। ওকে ঘুম থেকে উঠিয়ে আদর করি, চটকাই। খুব বিরক্ত হয়। মা বলে, ও নাকি আমার থেকে জেদটা পেয়েছে। কিছু চাই তো চাই। অথচ দেখতে হয়েছে বাবার মতো। বাইরে কাজে গেলেও, ওর দিকেই মন পড়ে থাকবে। ও হয়তো বলতে পারবে না, কিন্তু ও আমাকেও মিস করবে।'
আরও পড়ুন: Parambrata on Kahaani: বিদ্যা বালনের সঙ্গে কাজের ১৩ বছর পার, 'কাহানি'-র কাহিনী বললেন পরমব্রত
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
