Supreme Court: 'না জানিয়ে কোনও কাজ নয়' কামদুনিকাণ্ডের মুক্তিপ্রাপ্তদের ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ সুপ্রিম কোর্টের
ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর পরিবর্তন হলে তৎক্ষণাৎ তা পুলিশকে জানাতে হবে। পাসপোর্ট থাকলে তা অবিলম্বে সারেন্ডার করতে হবে।
নয়াদিল্লি: কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni) কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ে মুক্তিপ্রাপ্ত ৪ জনের ওপর নতুন শর্ত আরোপ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রতি মাসে প্রথম ও তৃতীয় সোমবার এই ৪ জনকে রাজারহাট থানায় হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। জানানো হয়েছে, কোথাও যেতে চাইলে সেই ভ্রমণ সূচি দিয়ে পুলিশের কাছে তাঁদের অনুমতি চাইতে হবে। ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর পরিবর্তন হলে তৎক্ষণাৎ তা পুলিশকে জানাতে হবে। পাসপোর্ট থাকলে তা অবিলম্বে সারেন্ডার করতে হবে। রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, ৪ জনের মুক্তির ফলে গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। রাজ্য সরকার এই মামলায় যথেষ্ট তৎপরতা দেখাননি, তাঁরা আদালতে আরও তথ্য দেবেন, আদালতে জানালেন নির্যাতিতার আইনজীবী।
কামদুনি গণধর্ষণ ও হত্য়া মামলায় রায়দান: গত ৬ অক্টোবর কামদুনি গণধর্ষণ ও হত্য়া মামলায় রায়দান করে কলকাতা হাইকোর্ট। ৬ দোষীর মধ্য়ে ৪ জনের জেল মুক্তিপায়। তাদের মধ্য়ে একজনকে তথ্য়প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে আদালত। আর বাকি ২ জনের মৃত্য়ুদণ্ড রদ করে, আমৃত্য়ু কারাবাসের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন কামদুনির প্রতিবাদীরা। রায় শোনার পর হাইকোর্ট চত্বরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতার ভাই। এর পর ফের পথে নামে কামদুনি। জ্বলে ওঠে প্রতিবাদের আগুন। তদন্তে গাফিলতির জেরেই কি গুরু পাপে লঘু দণ্ড? প্রশ্ন তোলে মৃতের পরিবার। প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশের ভূমিকাও। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় হতাশ পরিবার। হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। পাশাপাশি, সর্বোচ্চ আদালতে রাজ্য় সরকার যে মামলা করেছে তাতেও পার্টি হয়েছেন তাঁরা।
সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই: সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি সেরে গত ১৩ অক্টোবর দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। এ দিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা শঙকুদেব পণ্ডা। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য় সরকার যে মামলা করেছে তাতে পার্টি হয়েছেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালতে আরেকটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। তাঁদের হয়ে মামলা লড়বেন সুষমা স্বরাজের মেয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী বাসুরি স্বরাজ। সুপ্রিম কোর্টে বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কামদুনির প্রতিবাদীরা। আর আজ সেই মামলারই শুনানি ছিল। সেখানেই একাধিক নতুন শর্ত আরোপ করে সুপ্রিম কোর্ট।