Chandrayan 3 Mission : ছাত্রমৃত্যুর অভিযোগ তোলপাড়, তার মাঝেই ইসরোর চাঁদ-ইতিহাসে নাম জুড়ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের
Jadavpur University : ইসরোর এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন অধ্যাপক। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলি কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক সায়ন চট্টোপাধ্যায় এবং পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ গুপ্ত ।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : ইসরোর মিশন চন্দ্রযান ৩-এ (Chandrayan 3) জুড়ে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। দুই বিভাগের দুই অধ্যাপক সামলেছেন প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। চাঁদের বুকে সফল অবতরণের পরের দিন ক্যাম্পাসে হল তারই উদযাপন।
র্যাগিং-এর (Ragging) জেরে যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর (Jadavpur University Student Death) অভিযোগ। গ্রেফতার বেশ কয়েকজন প্রাক্তনী ও ছাত্র। রাজ্যেজুড়ে শোরগোল। ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে ভাব। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় প্রশ্ন। তারই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় ইতিহাস তৈরি করেছে ইসরো। বিশ্বে একমাত্র দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর (Moon South Pole) কাছে সফল অভিযান চালানোর কৃতিত্ব অর্জন করেছে ভারত। ইসরোর (ISRO) সেই ইতিহাসে লেখা রইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও।
২০২১ থেকে ২২, ইসরোর এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন, ২ জন অধ্যাপক। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলি কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক সায়ন চট্টোপাধ্যায় (Sayan Chatterjee) এবং পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ গুপ্ত (Amitava Gupta)। তাঁদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হল তারই উদযাপন। উল্লেখ্য, চন্দ্রযান ৩-এর অপারেশন টিমের সদস্য বিজয়কুমার দাই যাদবপুরের প্রাক্তনী।
মূল প্রশাসনিক ভবন অরবিন্দ ভবনে (JU Aravinda Bhavan) এদিন জড়ো হন পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। ছিলেন অধ্যাপক সায়ন চট্টোপাধ্যায়। কীভাবে কাজ হয়েছিল এই প্রকল্পে, তাঁদের কী ভূমিকা ছিল। হাতেকলমে বুঝিয়ে দেন তিনি। অন্য ক্যাম্পাস থেকে ভার্চুয়াল (Virtual Presence) মাধ্যমে ছিলেন অধ্যাপক অমিতাভ গুপ্ত।
গত ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে LVM3 রকেটের সাহায্যে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩। ৪০ দিন পর বুধবার সন্ধে ৬টা ৪-এ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে মাটি স্পর্শ করে ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram)। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন চাঁদ স্পর্শ করলেও, দক্ষিণ মেরুর কাছে পৌঁছতে পারেনি কেউ। আর প্রথমবার চাঁদে পৌঁছেই সেই মহাজাগতিক রহস্যে মোড়া, দুর্গম দক্ষিণ মেরুর কাছে ঘাঁটি গেড়েছে ভারত (India)। যেখানে ল্যান্ডিং করানোই একটা বিশাল অনিশ্চয়তা, সেখানেই অসাধ্য সাধন করেছে ইসরো (ISRO)। চাঁদের বুকে লেখা হয়েছে ইসরোর নাম। সেই নামের সঙ্গে জুড়ে গেল যাদবপুর।
আরও পড়ুন- চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার ঠিক আগে কেমন ছিল দৃশ্য ? বিক্রমের চোখে চাঁদে পা
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন