Bankura News: গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে নবপত্রিকা স্নান করালেন বাঁকুড়ার শতাধিক পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা
Nabapatrika Snan: দীর্ঘদিনের প্রথা মেনে বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে নবপত্রিকা স্নান করালেন শতাধিক পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীতে মায়ের বোধন হওয়ার পর সপ্তমীর দিন স্নান করানো হয় নবপত্রিকাকে (Nabapatrika Snan)। প্রাচীন কাল থেকেই এই প্রথা মেনে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
সেই প্রথা পালন করতে সপ্তমী দিন সকালে বাঁকুড়া শহরের শতাধিক পুজোর উদ্যোক্তারা নবপত্রিকা স্নান করাতে হাজির হন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে। শত শত বছরের এই রীতির অন্যথা হল না এবারেও।
তবে তিথির গোলমালে এবার নবপত্রিকা স্নানের পর্ব মিটল সপ্তমীর সকালের আলো ফোটার আগেই। ভোর তিনটা থেকে একে একে বিভিন্ন পুজোর মণ্ডপ থেকে নবপত্রিকাকে পালকিতে চাপিয়ে ঢাক বাজিয়ে শোভাযাত্রা সহযোগে উদ্যোক্তারা হাজির হলে বাঁকুড়া শহরের গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে। পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে ফের তাঁরা ফিরে যান নিজের নিজের মণ্ডপে। নবপত্রিকার এই স্নান পর্বকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সকালে হাজার হাজার লোকের ভিড়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই উৎসবের চেহারা নেয় সতীঘাট। স্নানের পর নবপত্রিকার পুজো শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় উদযাপনও।
প্রাচীনকাল থেকে মহাসপ্তমী তিথিতে নবপত্রিকা বা কলাবউ স্নান করানোর রীতি প্রচলিত রয়েছে দুর্গাপুজোর সময়। এই নবপত্রিকায় কলাবউ হিসেবে দুর্গাপুজোর চারদিন গণেশ ঠাকুরের পাশে থাকে।
শাস্ত্র অনুসারে নটি উদ্ভিদ দেবী দুর্গার ৯টি বিশেষ রূপের প্রতিনিধি হিসেবে পূজিত হন দুর্গাপুজোর সময়। এই নটি দেবী হলেন রম্ভার ব্রক্ষ্মাণী, কচুর কলিকা, হরিদ্রার উমা, জয়ন্তীর কার্তিকী, বিল্ব বা বেলের শিবা, দাড়িম্বর রক্তদন্তিকা, অশোকের শোকরহিতা, মানের চামুণ্ডা ও ধানের লক্ষ্মী।
প্রথমে শাস্ত্রবিধি মেনে স্নান করানো হয় নবপত্রিকাকে। তারপর একটি নতুন লাল পাড় সাদা শাড়ি পরানো হয়। এই সমস্ত কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর মণ্ডপে নিয়ে এসে নবপত্রিকাকে দেবীর ডানদিকে রাখা হয়। এরপর সূচনা হয় পুজোর মূল অনুষ্ঠানের।
তবে সপ্তমীর ভোরে নবপত্রিকার স্নান ও পুজো উদযাপনের মাঝেও ফিকে হয়নি তিলোত্তমার বিচারের দাবি। পুজোর উদ্যোক্তাদের কথায়, এই উৎসবের মাঝেও তাঁরা মনে রেখেছেন তিলোত্তমাকে। তাই পুজো উদযাপনের মাঝেও তিলোত্তমার বিচারের দাবি ফিকে হয়নি এতটুকুও।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।