(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Fishery Department : গত মার্চ থেকে বেতন পাননি মৎস্য দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা! অভিযোগ ঘিরে তরজা
Non Payment : পুজোর আগে মৎস্য দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন সমস্যায় অস্বস্তিতে শাসক শিবির।
কমলকৃষ্ণ দে, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বিটন চক্রবর্তী, বর্ধমান : জেলায় জেলায় মৎস্য দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের (Temporary Workers of Fishery Department) বেতন না পাওয়ার অভিযোগ। গত মার্চ মাসের পর বেতন পাননি, অভিযোগ বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান সহ একাধিক জেলার মৎস্য দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের। মৎস্য উৎপাদন না বাড়লে কিছু কর্মীকে বসিয়ে দিতে হবে, বিস্ফোরক মন্তব্য প্রাক্তন মৎস্য মন্ত্রীর।
আলোর নিচে অন্ধকার
পুজোর সাজে সেজে উঠছে গোটা রাজ্য। আনন্দে মাতোয়ারা সাধারণ মানুষ । হেভিওয়েটরা এখন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে উদ্বোধনে ব্যস্ত। তবে এরইমধ্যে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। অন্যদিকে বিভিন্ন জেলায় মৎস্য দফতরের চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের বেতন না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আউশগ্রাম যমুনা দিঘি মৎস্য প্রকল্পের চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, মার্চ মাসে তাঁরা শেষ বেতন পেয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও সমস্যার সমাধান হয়নি। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের অভিযোগ, ৬ মাস হতে চলল, বেতন পাইনি, বাড়িতে কিছু দিতে পারিনি, কীভাবে খেতে পাব সেটাই বুঝতে পারছি না, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি ।
জারি তরজা
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মৎস্য মন্ত্রী। তৃণমূল (TMC) বিধায়ক ও প্রাক্তন মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি বলেছেন, 'মৎস্য উৎপাদন না বাড়লে কিছু কর্মীকে বসিয়ে দিতে হবে'। যদিও সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বর্তমান মৎস্য মন্ত্রী। রাজ্যের বর্তমান মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী বলেছেন, 'সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সমাধানের চেষ্টা করছি।'
সবমিলিয়ে পুজোর আগে মৎস্য দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন সমস্যায় অস্বস্তিতে শাসক শিবির।
গতকালই সাত, সাতদিন ধরে যাত্রীদের তুমুল ভোগান্তির পর, অবশেষে ওঠে SBSTC’র অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি। পুজোর মুখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন হাজার হাজার যাত্রী।প্রত্যেক অস্থায়ী কর্মীর ২৬ দিনের অ্যাটেন্ডেন্স, সমকাজে সমবেতন, সবেতন ছুটি মঞ্জুর, ছাঁটাই কর্মীদের পুনর্নিয়োগ, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির মতো দাবি নিয়ে কর্মবিরতি চালাচ্ছিলেন SBSTC’র অস্থায়ী কর্মীরা। দিঘা থেকে দুর্গাপুর হয়ে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল প্রায় রাজ্যজুড়ে। সাতদিন পর তা উঠলেও, এতদিন বন্ধ থাকা পরিষেবা কি সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হবে? বুধবার সকাল থেকেই কি সমস্ত বাস চলবে? আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে এক সপ্তাহ ধরে ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।
আরও পড়ুন- শূন্যপদে নিয়োগ হয়নি কেন, আদালতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য