Hawker Survey: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো কলকাতায় শুরু হল হকার সার্ভে, কমিটির বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত ?
Mamata Banerjee: টানা তিন দিন ধরে হকার উচ্ছেদের পর, তা ১ মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে সার্ভে চালানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, অনির্বাণ বিশ্বাস, শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কলকাতায় শুরু হল হকার সার্ভে। অন্যদিকে বৈঠকে বসল ৫ সদস্যের কমিটিও। একজন হকার, একটি মাত্র ডালা ব্যবহার করতে পারবেন। অন্য কাউকে ভাড়া বা বিক্রি করতে পারবেন না। জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মুখ্যমন্ত্রীর কড়াবার্তার পর কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছিল ফুটপাত দখলকারী হকারদের সরানোর কাজ। টানা তিন দিন ধরে হকার উচ্ছেদের পর, তা ১ মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে সার্ভে চালানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'আমি এখনই উচ্ছেদের মধ্য়ে না গিয়ে, এক মাস যেহেতু টাইম নিয়েছে ওরা, এই ১ মাসের মধ্য়ে আমাদের কাজগুলো কমপ্লিট করতে হবে। যে লোকগুলোকে পুলিশ ইতিমধ্য়েই সরিয়ে দিয়েছে, তাদের কী ঠিকানা, কোথায় আছে, কোথায় বাড়ি, সেটা দেখে নাও, একটা সার্ভে করে।'
মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মতো শুক্রবার থেকে কলকাতায় শুরু হল হকার-সার্ভে। একদিকে গড়িয়াহাটে হকারদের থেকে নেওয়া হল তথ্য।অন্যদিকে নিউ মার্কেট পরিদর্শন করলেন ৫ সদস্যের কমিটি ও পুলিশ কমিশনার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি হওয়া কমিটিতে রয়েছেন,
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মেয়র পারিষদ (হকার পুনর্বাসন) দেবাশিস কুমার। এদিন তাঁরা নিউ মার্কেট পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ কমিশনার।
কমিটির প্রথম বৈঠকে এদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, একজন হকার একটি মাত্র ডালা রাখতে পারবেন। অন্য কাউকে ডালা বিক্রি বা ভাড়া দেওয়া যাবে না। হকারদের ডালা চিহ্নিত করতে জিআই-ট্যাগিং করা হবে। এনিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'গড়িয়াহাট দিয়ে সার্ভে শুরু হয়েছে। এরপরে নিউমার্কেট, হাতিবাগান। এই সার্ভে করে ২০১৫-র সার্ভের সঙ্গে আমরা মেলাব। একটা অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। যেটা মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদন করলে আমরা ওই অ্যাপের মাধ্যমে জিআই ট্যাগিংয়ের মধ্য়ে দিয়ে হকারদের স্টল এবং জিপিএস লোকেশন করে দিয়ে, তাঁর অন্য জায়গায় স্টল আছে কি না, পুরোটা নিয়ে আধার-নির্ভর করে সেটা হকারদের করব।'
এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'মৃতের গায়ে আতর ছড়াচ্ছে। জাদু জানেন উনি যে এক মাসে সব ব্যবস্থা করে দেবেন। উনি ফর্মুলা কী বলুন কোথায় ? এই যে হকার সরাব বিকল্প জায়গা কোথায় আছে কলকাতায় বলুন। সেখানে প্রোমোটারি কারা করবে ? সেই দোকানগুলো কারা বানাবে ? সেই জায়গা কোথায় চিহ্নিত করুন। হাজার হাজার হকারদের পুনর্বাসন করেছি। দেখে আসুন এখনও বহরমপুর শহরে, দেখে আসুন কান্দিতে। দেখে আসুন লালবাগে। করেছি আমরা।'
অন্যদিকে গড়িয়াহাটেও শুরু হল হকার সার্ভে। নির্দিষ্ট ফর্মে লেখা হল হকারদের যাবতীয় তথ্য। সেখানে ছিলেন হকার পুনর্বাসন বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। হকার সার্ভে শেষ হলে, সেই রিপোর্ট জমা পড়বে কমিটির কাছে।