Maldah News: মন্দির সংস্কার ও রাস্তা নির্মাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে
সাহাবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মন্দির সংস্কার ও রাস্তা নির্মাণের জন্য একশো দিনের প্রকল্পে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কাজ না করে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান।
করুণাময় সিংহ, মালদা: মন্দির সংস্কার ও রাস্তা নির্মাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এবার অভিযোগ উঠেছে খাস পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। কালিয়াচক (Kaliachak) তিন নম্বর ব্লকের সাহাবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (TMC) ঘটনা। ঘটনায় বিডিওর (BDO Office) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। আর এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
সাহাবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শ্মশানের মন্দির সংস্কার ও রাস্তা নির্মাণের জন্য একশো দিনের প্রকল্পে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কাজ না করে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। গ্রামবাসীদের একটা অংশ বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইতিমধ্যেই। উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেছেন বাসিন্দারা। যদিও প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান চন্দনা মণ্ডলের স্বামী অসিত কুমার মণ্ডল।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো মিথ্যে অভিযোগ। মাত্র দু'মাস আগে প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন তাই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদা জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র। এই অভিযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, 'তৃণমূল ও দুর্নীতি মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। সমস্ত জায়গাতেই এখন দুর্নীতির তদন্তে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।' এই বিষয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, 'প্রশাসনের কাছে অভিযোগ হয়েছে তদন্ত হবে। কেউ দুর্নীতি করলে দল পাশে দাঁড়াবে না প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।'
উল্লেখ্য, এই একই দিনে এলাকায় প্রোমোটারদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ। জমির দখল (Land Mafia) নিতে এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুই প্রোমোটারের (Promoter) বিরুদ্ধে। এমনকি মহিলার বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি এই একই দিনে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) শহরের ১২ নং ওয়ার্ড নৃপেনপল্লীতে। পরপর দুই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই দৌরাত্ম, আর তাতেই নাজেহাল সকলে। এদিন পরপর দুটি ঘটনায় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও স্থানীয়দের অভিযোগ, কখনও সরকারি জমি, কখনও খাসজমি কখনও রায়ত জমি থেকে উচ্ছেদ করে দখলের চেষ্টা চলছে।
সোমবার ঝাড়গ্রাম পৌরসভার রঘুনাথপুর এলাকার সাততলা আবাসন এলাকায় বসবাসকারী এক মহিলাকে মারধর করে তার বাড়ি থেকে তাঁকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে দুই প্রোমোটা। এমনকি তার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ওই প্রমোটারদের লোকজন বলে তিনি অভিযোগ করেন। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম পৌরসভার রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা জিকে রত্না নামে ওই মহিলা দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন।