Sreelekha Mitra: না খেয়ে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, ওঁদের ভরাপেটে ঘুম আসে কি? রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শ্রীলেখার
Junior Doctors Hunger Strike: অনিকেত মাহাত, অলোক বর্মা ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়।
কলকাতা: আট দিন ধরে লাগাতার অনশন। দাবিদাওয়া পূরণের দাবিতে আমরণ অনশন জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাতে অনিকেত মাহাত, আলোক বর্মা ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। আর তা নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এতদিন ধরে না খেয়ে যেখানে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের এই অবস্থায় রেখে বাকিদের ভরা পেটেই বা কী করে ঘুম হয়, প্রশ্ন তুললেন তিনি। (Sreelekha Mitra)
এবিপি আনন্দেক মুখোমুখি হয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ করেন শ্রীলেখা। তাঁর বক্তব্য, "চিন্তার বিষয় তো বটেই। তবে আমাদের সিনিয়র ডক্টর্সরাও একদম তৈরি রয়েছেন। অনশনের কোন ধাপে কী হতে পারে, তাতে কী করতে হয়, তা জানেন ওঁরা। এই যে মশারি টাঙিয়ে এরা শুয়ে রয়েছে, আমি ভাবছি, পেটে তো কিছু নেই! জল খেয়ে ঘুম আসবে? খালিপেটে তো ঘুম আসে না আমাদের! যদি না খাওয়াদাওয়া হয়, ঘুম কি আসে? এরা তো সাত দিন ধরে না খেয়ে রয়েছে। এদের ঘুম আসবে? আর যাঁরা এদের কোনও কথা শুনছেল না, দশ দফা দাবি মানছেন না, তাঁদের ভরা পেটেও কি ঘুম আসে? এটাও আমার প্রশ্ন।" (Junior Doctors Hunger Strike)
শনিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুষ্টুপ। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লকের CCU-তে ভর্তি করা হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যালে আট চিকিৎসকের বোর্ড তৈরি হয়েছে অনুষ্টুপের চিকিৎসার জন্য। অনুষ্টুপের শরীরে কোথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকেরা। কলকাতা মেডিক্যালের MSVP অঞ্জন অধিকারী জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা অনুষ্টুপকে দেখেছেন। পরীক্ষা চলছে।
কলকাতা মেডিক্যালের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে অনুষ্টুপকে। গতকাল তাঁর পেটে যন্ত্রণা ছিল। শরীর থেকে রক্তক্ষরণও হচ্ছিল। কোথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা চিহ্নিত করাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ চিকিৎসকদের। কী কী ওষুধ দেওয়া যায় তাঁকে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সেই আবহেও ধর্মতলায় অনশন চলছে। ১৭৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে আমরণ অনশনের। নতুন করে অনশনে যোগ দিয়েছেন চিকিৎসক পরিচয় এবং আলোলিকা। প্রচুর মানুষজনও এসে পৌঁছেছে। পাশাপাশি, জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে প্রতীকী অনশনও চালাচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা। তবে অনশনকারী চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য়ের অবনতি সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে। অনশনস্থলে সকলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছে চিকিৎসকের ফোরাম। ঘটনাস্থলে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স।