SSC Recruitment Scam : ২৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ফের SSC মামলার শুনানি
এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করে দেয়।
কলকাতা : ২৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ফের SSC মামলার শুনানি । ২৬ হাজার চাকরির ভবিষ্যৎ কী? এই নিয়ে এদিন পর্যবেক্ষণ জানাতে পারে আদালত। সেদিন সিবিআই, রাজ্য সরকার ও চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী, সকলের বক্তব্য শুনবে আদালত।
সওয়াল জবাবের প্রথম পর্যায়েই বৈধ ও অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করতে তদন্তের আবেদন করেন গ্রুপ সি চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী। তিনি আদালতের কাছে ফের বলেন, অন্যের বেনিয়মের জন্য যেন সব যোগ্য চাকরিপ্রাপকরা বঞ্চিত না হন। নবম-দশম ও গ্রুপ ডি চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সওয়াল করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন , নাইসার প্রাক্তন কর্মী পঙ্কজ বনশলের কাছ থেকে পাওয়া ৩টি হার্ড ডিস্কের বৈধতা কতটা ? আদালতে রোহাতগি বলেন, আসল OMR শিট যেখানে নেই, তার স্ক্যান করা কপিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে পরীক্ষাগ্রহণকারী সংস্থার নাইসার প্রাক্তন কর্মী পঙ্কজ বনশলের কাছ থেকে পাওয়া ৩টি হার্ড ডিস্ককে গুরুত্ব দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত ? তিনি বলেন, 'আমরা জানি না, ওই হার্ড ডিস্ক বিকৃত করা হয়েছে কি না'।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ' আমরা কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিইনি, সব বিষয় গ্রহণ করেছি'। 'দুটো প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ এক, কারা অসদুপায় অবলম্বন করে চাকরি পেয়েছে, আর কারা পায়নি'।
এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করে দেয়। চাকরি যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার, SSC এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় চাকরিহারাদের একাংশও। এর আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য-অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করার ওপর প্রাধান্য দিয়েছে। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি এবং OMR শিট সংরক্ষণ-সহ একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি।
কী হবে SSC-র ২৬ হাজার চাকরিজীবীর ভবিষ্যৎ? পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হবে, নাকি শনাক্ত হবে বৈধ-অবৈধ চাকরি? 'যোগ্য চাকরিপ্রাপক'দের প্রশ্ন, বৈধ ও অবৈধ চাকরিজীবীদের আলাদা করা যাবে? অযোগ্য়দের বাতিল করে, যোগ্যদের চাকরি বহাল রাখা সম্ভব হবে? সব প্রশ্নের উত্তর পেতে আগামী ২৭ তারিখ নজর রাখতে হবে শীর্ষ আদালতের শুনানির দিকে।
আরও পড়ুন, 'TMC নেতা আক্রান্ত হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়, কিন্তু অভিযুক্ত যদি শাসক হয় ..' !
( চাকরি বাতিল মামলার শুনানি এখনও চলছে, এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে বলে যে খবর আমরা সম্প্রচার করেছিলাম, তা সঠিক নয়। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)