Suvendu Adhikari:'৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ঋণের আবেদন করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী', শুভেন্দুর দাবিতে হইচই
Loan Application:'৭ তারিখের আগে ৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ঋণের জন্য আবেদন করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থ দফতরের লোকেরাই নোট পাঠিয়েছেন', বিস্ফোরক দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
কলকাতা: '৭ তারিখের আগে ৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ঋণের জন্য আবেদন করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) । অর্থ দফতরের লোকেরাই নোট পাঠিয়েছেন', বিস্ফোরক দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari On Extra Loan Application)। 'অর্থ দফতরের বাজেট সেলকে অতিরিক্ত ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণের আবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে এই টাকা দিয়ে নির্বাচনী তহবিল গড়বে তৃণমূল। রাজ্যের অর্থনীতিকে শেষ করে গ্রামবাংলার ভোট নিয়ন্ত্রণের ছক কষছে রাজ্যের শাসক দল', অভিযোগ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়তেকর।
বিরোধী দলনেতার দাবি...
কদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, '২১ ফেব্রুয়ারি ১০০ দিনের ২১ লক্ষ বঞ্চিত শ্রমিককে বকেয়া মেটানো হবে।' এদিন সেই প্রসঙ্গে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, 'তৃণমূলের চোরেরা সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮০ শতাংশ ভুয়ো বিল করে রেখেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চার সদস্যের দল তদন্ত করলেই ভুয়ো বিল ধরা পড়বে। এটা শিক্ষা-কয়লা-গরু-রেশনের মতো বড়সড় দুর্নীতি, তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লেই তা স্পষ্ট হবে।' তাঁর প্রশ্ন, 'এই টাকা আসবে কোথা থেকে? অর্থ দফতরের লোকেরাই বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ৭ তারিখের আগে অতিরিক্ত ঋণের আবেদন করতে বলেছেন। চোর ঠিকাদারদের সেই টাকা দিয়ে লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।'
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আবার দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের টাকা দেবেন বলেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই তৃণমূলের ক্যাডার। রাজ্য সরকারের তো টাকাই নেই, দেবে কী করে? আর দিলেও কেন্দ্রের অন্য কোনও বরাদ্দের টাকা থেকে দিতে পারে। আইনত মুখ্যমন্ত্রী এভাবে টাকা দিতে পারেন না।'
রাজ্য বিজেপি যেদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে, সে দিনই আবার ক্যাগের রিপোর্ট নিয়ে পাল্টা সুর চড়ায় রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে পেরে না উঠেই বাংলাকে আর্থিক ভাবে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি', দাবি তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের। তাঁর প্রশ্ন, 'কেন্দ্র সরকার ১২ লক্ষ কোটির ব্যাঙ্ক লোন মকুব করলে রাজ্যের ৬ হাজার ৯০০ কোটি মকুব করছে না কেন? কেন রাজ্যের মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে?'তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতার আরও দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে বৈঠক করেছিলেন, তাতে 'ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট' নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। যদিও তৃণমূল সরকারের কাছে বিপুল তথ্য তৈরি রয়েছে।
আরও পড়ুন:মমতার ধর্নামঞ্চে অনুপস্থিত অভিষেক, জল্পনা বাড়াল বোন অদিতির পোস্ট