Waqf Protest: ভাঙড়ে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে ব্যাপক লাঠিচার্জ পুলিশের, 'জখম বেশ কয়েকজন..' ! অবরুদ্ধ বাসন্তী হাইওয়ে
Waqf Bill Protest Bhangar Violence Police Lathi Charge : ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ভাঙড়ে বিক্ষোভ, বিক্ষোভকারীদের হঠাতে ব্যাপক লাঠিচার্জ পুলিশের

হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ভাঙড়ে বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মাইকিংও করে পুলিশের। এরপরেই বিক্ষোভকারীদের হঠাতে ব্যাপক লাঠিচার্জ চালিয়েছে পুলিশ বলে অভিযোগ। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। এরপরেই জোর উত্তেজনার তৈরি হয় ওই স্থানে। সমর্থকদের শান্তি বজায় রাখার বার্তা ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। পুলিশের লাঠিচার্যে জখম হয়েছে বেশ কয়েকজন বলে জানিয়েছেন এক আন্দোলনকারী।
আরও পড়ুন, মুর্শিদাবাদে 'অশান্তি'র জন্য কারা দায়ী ? শুভেন্দু কাছে এসে পৌঁছল কাদের নাম ? ' তালিকাও তৈরি...'
শেষ অবধি পাওয়া খবরে, পরিস্থিতি অনেকটাই আগের থেকে স্বাভাবিক করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। যারা রাস্তা অবরুদ্ধ করছিলেন, তাঁদেরকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। একের পর এক গাড়িতে করে কিন্তু ফিরে যাচ্ছেন। এবং দীর্ঘক্ষণ বৈরামপুর মোড় এবং পাগলার হাট মাঠের কাছে কিন্তু, যে অবরোধ ছিল সেই অবরোধকে হঠিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তায় যাতে স্বাভাবিক ছন্দ ফেরে সেই জন্য খোদ জয়েন্ট সিপিও পৌঁছে যান।
এদিন ADG জাভেদ শামিম বলেন, 'মুর্শিদাবাদ-মালদা জুড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। ঘরছাড়ারা ধীরে ধীরে ঘরে ফিরে আসছেন। এলাকা শান্তিপূর্ণ থাকলেও, তার মানে কিন্তু এই নয়, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে। এলাকাজুড়ে গুজবের দাপট এখনও কমেনি, সেই জন্যই ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। জঙ্গিপুরে ধীরে ধীরে দোকানপাট খুলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন এলাকায় চলছে রুটমার্চ। বাইরের রাজ্য থেকে কিছু না জেনে সোশাল মিডিয়ায় নানারকম পোস্ট করা হচ্ছে। হিংসাকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা ২০০-র বেশি। যাঁরা অপরাধী, তাঁদের প্রত্যেককে ধরা হবে। একটা প্ররোচনা থেকে এই কাণ্ড ঘটেছে, এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে।'
অপরদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, 'সব ধর্মের সবার আছে আবেদন, আপনারা দয়া করে শান্ত ও সংযত থাকুন। ধর্মের নামে কোনও অ-ধার্মিক আচরণ করবেন না। প্রত্যেক মানুষের প্রাণই মূল্যবান, রাজনীতির স্বার্থে দাঙ্গা লাগাবেন না। মনে রাখবেন, এই আইন কিন্তু আমরা করিনি। উত্তর যা চাওয়ার কেন্দ্রের কাছে চাইতে হবে। আমরা ওয়াকফ আইনকে সমর্থন করি না। যাঁরা উস্কানি দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেব। কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মের অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছে। তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না, শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখুন, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
