![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Terrorist Suspect Arrested: STF-এর জালে আরও ১, হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জঙ্গি
Al Qaeda: রাজ্যে কি ফের সক্রিয় আল কায়েদার শাখা সংগঠনের সদস্যরা ? সিক্রেট অ্যাপের মাধ্যমে আল কায়েদার সদস্য সংগ্রহের ছক ?
![Terrorist Suspect Arrested: STF-এর জালে আরও ১, হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জঙ্গি West Bengal STF arrested on more terrorist this time from Howrah Station adjacent area Terrorist Suspect Arrested: STF-এর জালে আরও ১, হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জঙ্গি](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/06/25/c382a3b4d55992331164b556522252cc1719313677952170_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
আবির দত্ত, হাওড়া : জঙ্গি যোগের অভিযোগে রাজ্যে ফের গ্রেফতার এক। আজ সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই সন্দেহভাজনকে। ধৃতের নাম হারেজ শেখ। জঙ্গি সন্দেহে ধৃত মহঃ হবিবুল্লাকে জেরা করে এই ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য মিলেছে বলে দাবি এসটিএফের।
মহঃ হবিবুল্লাকে গ্রেফতার করেছিল বেঙ্গল এসটিএফ। তার বিরুদ্ধে যেটা অভিযোগ ছিল যে দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে সে লিপ্ত। শুধুমাত্র দেশবিরোধী কার্যকলাপ নয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে যে তথ্যপ্রমাণ ইতিমধ্যে তদন্তকারীরে পেয়েছেন যে, আলকায়দার অন্যতম মডিউল শাহদাদ-এর শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব সে। তাকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে সূত্র-তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতেই হারেজ শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাওড়া স্টেশল লাগোয়া জায়গা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়ি আদতে নদিয়ার মায়াপুরে। ২৭ বছর বয়সী এই হারজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, এ নিজেও শাহদাদ গ্রুপের অন্যতম সদস্য হতে পারে।
রাজ্যে কি ফের সক্রিয় আল কায়েদার শাখা সংগঠনের সদস্যরা ? সিক্রেট অ্যাপের মাধ্যমে আল কায়েদার সদস্য সংগ্রহের ছক ? উত্তর খুঁজতে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থেকে দিনকয়েক আগে সন্দেহভাজন এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। ধৃত মহম্মদ হাবিবুল্লা পূর্ব বর্ধমানের একটি কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
STF সূত্রে দাবি, আনসার আল ইসলাম নামে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার একটি শাখা সংগঠন বাংলাদেশে সক্রিয় রয়েছে। পাকিস্তান-সহ নানা দেশে সক্রিয় এই মডিউল। এদেশে আনসার আল ইসলামের মডিউল শাহাদাত নামে সক্রিয়। শাহাদাতের প্রধান বা আমির ছিলেন ধৃত মহম্মদ হাবিবুল্লা। BIP নামে একটি অ্যাপকে কাজে লাগিয়ে সদস্য় সংগ্রহের পরিকল্পনা ছিল জঙ্গি সংগঠনটির। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এনক্রিপ্টেড মেসেজে কথা বলত সংগঠনের সদস্যরা।
STF সূত্রে আরও খবর, মে মাসে আনসার আল ইসলামের এক রিক্রুটিং হেড ও ২ জন আঞ্চলিক প্রশিক্ষককে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশের র্যাব। ১০ দিন আগে ওই জঙ্গি সংগঠনের আরও ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। আসাদুল্লা আসিফ, মহম্মদ আহাদ নামে ওই দুই সদস্যকে জেরায় মেলে এরাজ্যের যোগ।
এরপরই শনিবার কাঁকসা মিরেপাড়ায় হানা দেয় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ হাবিবুল্লাকে। তাঁর কাছ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, তাতে বেশ কিছু উস্কানিমূলক ভিডিও ও মেসেজ উদ্ধার হয়। ধৃত হাবিবুল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও UAPA মিলিয়ে ১১টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় বেশি দেখা যেত না হাবিবুল্লাকে।
ধৃত হাবিবুল্লা কি একাই বাংলায় শাহাদাতের মডিউল সামলাত? নাকি জাল বিস্তারে তার কোনও সহযোগী ছিল? বাংলায় বা অন্য কোথাও কি কোনও নাশকতার ছক ছিল? জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)