IAS Success Story : প্রথমবার পরীক্ষায় বসেই সফল, অনুপ্রেরণার নাম দিব্যাংশু
IAS Success Story of Topper Divyanshu Singal : দিব্যাংশু যখন MSC করছেন তখনই ঠিক করেন সিভিল সার্ভিস দেবেন।
নয়াদিল্লি: একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম। সাফল্য পেতে এর কোনও বিকল্প নেই। সাফল্যের শীর্ষস্তরে পৌঁছতে নেই কোনও শর্টকার্ট। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মুখেই নানা সময়ে উঠে এসেছে এই কথা। প্রতিযোগিতা যেখানে চরম, সেখানে সফল হতে যে পরিশ্রমের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে হবে তা আর নতুন কী ! আর সেই প্রতিযোগিতার নাম যদি হয় IAS,তাহলে প্রস্তুতির জন্য পরিশ্রম ঠিক কতটা হতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে কি? IAS-র দরজা পেরোতে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের নিজমুখে লড়াইয়ের গল্প শুনলে কঠিন রাস্তাটা সুগম হয়ে যেতে পারে। আজ থাকল IAS দিব্যাংশু সিঙ্গলের লড়াই।
বাড়ি রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায়। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনাও নিজের রাজ্যেই। বিএসএফ শ্রীগঙ্গানগর স্কুল থেকে। পরে দিল্লি চলে আসেন। ভর্তি হন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হিন্দু কলেজে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, দুই স্তরেই বিষয় ছিল অঙ্ক। MSC প্রথম বর্ষে পড়াকালীনই দিব্যাংশু শুরু করে দেন প্রস্তুতি। নিতে শুরু করেন কোচিংও। দু'হাজার উনিশে ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস পরীক্ষায় ত্রয়োদশ স্থান দখল করেন। পরে সিভিল সার্ভিসকে পাখির চোখ করে বসে পড়েন পরীক্ষায়। সবকটা ধাপ এক চান্সে পেরোন। দুহাজার কুড়ি সাল। প্রথমবারেই UPSC-তে গোটাদেশে র্যাঙ্ক ৬০।
দিব্যাংশুর মতে, প্রস্তুতির জন্য নিজের স্ট্র্যাটেজি নিজে তৈরি করা দরকার। অন্য সফলদের বক্তব্য শুনলেও, টিপস নিলেও স্ট্র্যাটেজিটা যেন নিজের হয়। প্রস্তুতির মাঝে কেউ নানাভাবে পরামর্শ দিল, আর তাতে বয়ে গিয়ে নিজস্ব রণনীতি পালটে ফেললাম- এটা যেন না হয়। দিব্যাংশু বলছেন, প্রিলিমিনারির অন্তত দু'তিন মাস আগে মেন সিলেবাস শেষ করে ফেলা উচিত। প্রিলিমিনারি ও মেনের মাঝে যে সময় পাওয়া যাবে, যতটা পারা যায় অভ্যাস করতে হবে উত্তরপত্র লেখার। অনুশীলনকে করে ফেলতে হবে অভ্যাস।
প্র্যাকটিস আর মক টেস্ট। সাফল্য পেতে এই দুইয়ের ওপর অনেক বেশি নজর দিতে বলছেন দিব্যাংশু। একইসঙ্গে তাঁর পরামর্শ ইংরেজি, হিন্দি বা অন্য যে কোনও আঞ্চলিক ভাষা, যে ভাষাতেই পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক না কেন- তাতে যেন যথেষ্ট দখল থাকে।
ইন্টারভিউ পর্ব শুরু থেকেই শুরু করা উচিত। IAS হওয়ার প্রস্তুতি যে দিন থেকে শুরু করতে হবে, সেই দিন থেকেই শুরু করা উচিত ইন্টারভিউ প্রস্তুতি। যে কোনও বিষয়ে নিজের মত তৈরি করে, তা বলার প্র্যাকটিস করা দরকার। মনে রাখতে হবে, ইন্টারভিউ কিন্তু জ্ঞান যাচাই করার পরীক্ষা নয়। বরং খুঁটিয়ে দেখা হয় প্রার্থীর ব্যক্তিত্বের দিকটা । প্রার্থীর পরিস্থিতি বিচারের ক্ষমতা কতটা।
দিব্যাংশুর অন্যান্য টিপস
- যত বেশি রিভিজন, তত পরীক্ষার হলে লাভ।
- সাবজেক্টের জন্য একাধিক সোর্স না রেখে একটা সোর্স ব্যবহার করে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, দরকার এক সোর্সেই পড়়াশোনা।
- জোর দিতে হবে সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা ও পুরনো বছরের প্রশ্নপত্রে।
- ঘাবড়ে যাওয়া নয়। যে যাই বলুক, নিজের লক্ষ্য ও নিজস্ব স্ট্র্যাটেজির রাস্তা থেকে নিজেকে সরানো উচিত নয়।
- লেগে থাকলে, সাফল্য আসবেই।
সূত্র : এবিপি লাইভ হিন্দি
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI