WB Bypolls: 'দুমাস আগে থেকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী ঘোষণা করে ফল তো দেখেছে', ভবানীপুর উপ-নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের
নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘিরে ক্রমশ চড়ছে পারদ...
রঞ্জিৎ সাউ, নিউটাউন: নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘিরে ক্রমশ চড়ছে পারদ। এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। বিজেপি নামের তালিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। সেই তালিকায় আছে কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিতের নাম।
এই ইস্যুতে তৃণমূলের তরফ থেকে করা হচ্ছে এতো সময় পেল প্রার্থী দিতে পারছে না। এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিষয়টি উল্লেখ করে পাল্টা কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমনে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। সেখানেই তিনি জানান, নির্বাচনটা মাঠে হয়।
তিনি বলেন, ওনারা তো দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। কি হলো আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। দুমাস আগে থেকে প্রার্থী দিয়েছিল রেজাল্ট তো দেখে নিয়েছে। লড়াই করেন দৌড়াদৌড়ি করেন লোকসভাতেও আগে প্রার্থী দিয়েছিল তারপর ঝটকাটা কে খেলো। নির্বাচনটা তো মাঠে হয়।
ভবানীপুর উপ নির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে আদালতে। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, স্বাভাবিকভাবেই ভবানীপুর উপ নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন মানুষের মনে। নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। ফলে, কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে গিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে। ব্যাপারটা আদালত বিচার করবে। সমস্ত দিকগুলি আলোচনা হবে।
নিতি যোগ করেন, সারা দেশে আরও ৩১টা উপ নির্বাচন অন্যান্য রাজ্যে। তারা বলছে উপ নির্বাচন করার পরিস্থিতি নেই। পশ্চিমবঙ্গে চারটি কেন্দ্রের উপ নির্বাচন হচ্ছে না। সাধারণ নির্বাচন বাকি আছে সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর। ওখানে অতটা করোনার প্রকোপ নেই।
কলকাতা সব সময় সেন্সসেটিভ যাঁরা বিধানসভা নির্বাচনে চেঁচিয়েছিলেন, লোককে মেরে ফেলেছে বলে। করোনার মধ্যে যাঁরা পুরভোট করাচ্ছেন না পরিস্থিতি ঠিক নেই বলে। তাঁরাই এখন ভোট চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী রাখার জন্য। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে উপ নির্বাচন করানোর জন্য নাহলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যান তাহলে কি সঙ্কট তৈরি হবে না? তাই স্বাভাবিকভাবে এই প্রশ্নগুলি মানুষ করছে। নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিলেন কেন। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাউকে বিধায়ক বা মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য এটা তো কাজ নয় নির্বাচন কমিশনের।