Mamata On Panchayat Poll : ভোট সন্ত্রাসে মৃত্যুমিছিল, ৩৫ দিনে ৪৭ মৃত্যু, 'রাম-বাম-শ্য়াম ও আরেকটি দল'কে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী
West Bengal Poll Violence : ৮ জুলাই সন্ত্রাসে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। ভোটের পর থেকে গণনা, মাঝের এই ২ দিনে খুন ৬ জন।
অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, সুকান্ত মুখোপাধ্য়ায়, সুমন ঘরাই, কলকাতা : গত ১ মাস ধরে রাজ্যে ভোট সন্ত্রাসে ( Poll Violence ) মৃত্যুমিছিল। ৩৫ দিনে রাজ্যে মৃত্যু হল ৪৭ জনের। এর মধ্যে যেমন বিরোধী দলের কর্মীরা রয়েছেন, রয়েছেন তৃণমূলের কর্মীরাও ( TMC ) । ভোটগণনার দ্বিতীয় দিনেও মৃত্যু হল ৫ জনের।
এ যেন লাশের পাহাড়, ভোট ঘোষণার পর মৃত্য়ু ! মনোনয়ন পর্বে মৃত্য়ু! ভোটের দিন মৃত্য়ু! গণনার পরও মৃত্য়ু! অন্তহীন মৃত্য়ুমিছিল! ৮ জুন ভোট ঘোষণার পর থেকে, ভোটের আগের দিন পর্যন্ত সন্ত্রাসে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। শুধুমাত্র ভোটের দিন, অর্থাৎ ৮ জুলাই সন্ত্রাসে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। ভোটের পর থেকে গণনা, মাঝের এই ২ দিনে খুন ৬ জন। সব মিলিয়ে গত ৩৫ দিনে মৃত্যু হল ৪৭ জনের।
পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার সময়ও হিংসার বিরাম নেই। তার মধ্য়ে বুধবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মুখে শোনা গেল বিক্ষিপ্ত ঘটনার প্রসঙ্গ। সেই সঙ্গে অশান্তির দায় তিনি কার্যত চাপালেন বিরোধীদের ঘাড়ে। নাম না করে আক্রমণ করলেন অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তীকে। এসব নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও।
কী বললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়
নির্বাচনী আবহে মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ' কয়েকটা মাত্র জেলায় গণ্ডগোল হয়েছে। বিরোধী পক্ষ জোট বেধে মেরেছে। আমাদের বেশী কর্মী মারা গেছে। রাম-বাম-শ্য়াম আরেকটি দল মিলে অশান্তি করেছে। মৃতদের পরিবারকে আমরা ২ লক্ষ টাকা করে দেব এবং হোমগার্ডের চাকরি দেব '
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ' আমি একদিকে অ্য়াগ্রেসিভ, মা দুর্গার সাধক, কালীর সাধক, রামকৃষ্ণর সাধক, গান্ধীজি আন্দোলনের পথপ্রদর্শক, আবার নেতাজির মতো অ্য়াগ্রেসিভ। প্রয়োজন মতো পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি, প্রয়োজনে নিজের মতো থাপ্পড়ও মারি শাসন করার জন্য়। এটা ভালবাসার লক্ষণ। '
পাল্টা অধীর
ভোট হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষুরধার আক্রমণ করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ' পশ্চিমবঙ্গ এখন নৈরাজ্যের রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর একবার মনে হল না বেরিয়ে এসে এই রক্তপাত থামানোর জন্য মানুষের কাছে আবেদন করি? প্রশাসনকে বলি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করুন? এটুকু সৌজন্যবোধও মুখ্যমন্ত্রীর নেই? ভাঙড়কে এখনই বিপজ্জনক এলাকা বলে ঘোষণা করা উচিত। '
বুধবারের মৃত্যু
ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ২ জন আইএসএফ কর্মীর। সন্ত্রাসের ভাঙড়ে খুন হতে হল এক সাধারণ গ্রামবাসীকেও।
মালদার রতুয়ায় ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার হলেন এক কংগ্রেস কর্মী। চাঁচলে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী। এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হল সাগদিঘির আক্রান্ত কংগ্রেসকর্মীর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে মৃত্য়ু হয়েছে তৃণমূল কর্মীর।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এদিনই কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, খুব দুঃখের যে, ফল ঘোষণার পরে রাজ্য অশান্তি আটকাতে পারছে না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। যদি রাজ্য তার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে সেটা উদ্বেগের।