Dev Exclusive: বাঘাযতীন না চললেও আবার ঐতিহাসিক ছবি বানাব
Baghajatin Exclusive: 'বাঘাযতীন উদযাপন করার ছবি। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে বাঘাযতীন কি করেছিলেন, সেটা সবার জানা উচিত।'
তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: এই ছবি নিয়ে তাঁর আবেগ এতটাই, যে শুধু নামটুকু বললেই বেশ কয়েক মিনিট নিরলসভাবে কথা বলে যেতে পারেন তিনি। শুধুই কথা? নাহ.. সেখানে মিশে থাকে আবেগ, সিনেমার প্রতি ভালবাসা আর বাংলাকে নিয়ে গল্প। যখন সবাই বক্সঅফিসে ছবির ব্যবসার অঙ্ক কষছেন, তখন নাকি তিনি ছবি বানিয়েছেন শুধুই গল্প বলার জন্য! ইতিহাসকে তুলে ধরার জন্য! কতটা সফল হল সেই উদ্দেশ্য? ‘বাঘাযতীন’ মুক্তির পরে, এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে সেই বিচারে বসলেন দেব (Dev)।
যে চরিত্র নিয়ে ইতিহাসেই দলিলের অভাব রয়েছে, তাকে বড়পর্দায় ফুটিয়ে তোলা দেবের পক্ষে কতটা কঠিন ছিল? অভিনেতা বলছেন, '২ বছর ধরে আমরা এই চিত্রনাট্যটা নিয়ে কাজ করছি। যখন শ্যুটিং করতে ফ্লোরে গিয়েছি, চরিত্রটাকে আমি গুলে খেয়েছি। যেহেতু ভিস্যুয়াল কোনও সাপোর্ট পাইনি, আমরা বই পড়তে শুরু করলাম। কেবল বাঘাযতীন নয়, প্রত্যেক বিপ্লবীর চরিত্রকে নিয়ে আলাদাভাবে পড়াশোনা করেছি। কোথাও যেন কোনও ফাঁক না থাকা যায় সেইদিকে খেয়াল থাকত সবসময়। ফ্লোরে প্রত্যেকে নিজেদের কাজটা জেনে গিয়েছি। আমার মনে হয় এই ইতিহাসটা দর্শকদের জানা উচিত। দর্শক যদি চান, এমন ছবির আরও প্রয়োজন, তাহলে বড়পর্দায় এই ছবি দেখতেও হবে। তবেই অন্যান্য প্রযোজকেরা টাকার কথা না ভেবে, গল্প বলার কথা ভাববে। এখন যে ফর্মুলায় ছবি বেশি চলে, সেটাকেই আমরা আবার ব্যবহার করার চেষ্টা করি। তবে মাঝে মাঝে এমন ছবিও হওয়া উচিত যেটা ছকের বাইরে। বাঘাযতীন তো বাঙালির গৌরবের গল্প গোটা ভারতের সামনে তুলে ধরার ছবি।'
'বাঘাযতীন' তৈরি করতে গিয়ে সত্যিই বক্সঅফিসের কথা ভাবেননি? দেব বলছেন, 'বাঘাযতীন উদযাপন করার ছবি। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে বাঘাযতীন কি করেছিলেন, সেটা সবার জানা উচিত। আমাদের ছবি বলেছে, স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রথম যিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কথা ভেবেছিলেন, তিনি একজন বাঙালি। আমার দর্শক আমায় অনেক সমর্থন করেছে, আশীর্বাদ করেছে.. নাহলে আজকে এই জায়গায় পৌঁছতে পারতাম না। এবার আমারও দায়িত্ব দর্শককে কিছু ফেরত দেওয়ার। বাঘাযতীন স্বাধীনতা সংগ্রামের একটা দলিল হয়ে থেকে যাবে।'
দর্শকদের ভালসাবা কি দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়? দেব বলছেন, 'অবশ্যই। আমি যদি একঘেয়ে ছবি বানাই, মানুষ আর কতদিন আমায় নিয়ে গর্ব করবে? ১৭ বছর ধরে দর্শক আমায় ভালবেসেছেন। এখন ৮ থেকে ৮০-র দর্শক আমায় ভরসা করেন। বিশ্বাস করেন, টিকিট কেটে দেবকে আড়াই ঘণ্টা দিলে ঠকব না। এটাই তো সবচেয়ে বড় পাওয়া। চিত্রনাট্য বাছার সময় সবসময় যে মাথায় দর্শকের পছন্দ থাকেন তা নয়। মনে হয়, দর্শকদের ভাবনার বাইরে গিয়েও কিছু একটা করি। একই ধাঁচের ছবি করতে আমার দমবন্ধ লাগে। মনে হয়, পৃথিবী জুড়ে এত ধরণের গল্প রয়েছে বলার জন্য... আমরা কেন পিছিয়ে থাকব। আমার আগামী ছবিগুলো ও ইতিহাস-কেন্দ্রিক। আমার ভাল লাগছে, অন্যরা যা ভাবছে না, সেটা নিয়ে আমরা ছবি বানাচ্ছি। ভগবানের আশীর্বাদে ছবিটা ভাল চলছে। আমি প্রথম থেকে বলছি, বাঘাযতীন উপার্জন করার জন্য তৈরি করিনি আমি। এই ছবিটা না চললেও আমি আবার একটা ইতিহাস নির্ভর ছবিই বানাতাম।'
আরও পড়ুন: Dev Exclusive: রুক্মিণীর সঙ্গে ঠাকুর দেখা হয়নি, মোবাইলেই ভারত-পাক ম্যাচ দেখেছেন দেব