(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Early risers at eating disorder risk: ভোর ভোর ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস সবসময় ভাল নয় ! কেন ?
Early risers at eating disorder risk: খুব ভোরে ঘুম ভেঙে যায় অনেকেরই। আবার খাবার খাওয়ার পময় চূড়ান্ত সতর্ক থাকেন কেউ কেউ। বিজ্ঞানীদের কথায়, এই দুইয়ের মধ্যে যোগ রয়েছে।
কলকাতা: খাবার খেতে গেলেই মনে হয় বেশি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে । আরেকটু কম খেতে হবে। এই খাবার খেলে ওজন বাড়বে। ওই খাবার খেলে শরীর খারাপ হবে। সেই খাবার খেলে চেহারার তাক লাগানো জেল্লাটাই হারিয়ে যাবে। অনেকের মনে হতে পারে এটি স্বাস্থ্য সচেতনতার লক্ষণ। কিন্তু আদতে তা নয়। বরং চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটি একটি বিশেষরকম রোগ! যার সঙ্গে যোগ রয়েছে আরেকটি অভ্যাসের। অভ্যাসটি হল রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া ও সকালে তাড়াতাড়ি উঠে পড়া। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে মর্নিং ক্রোনোটাইপ (morning chronotype) বলা হয়।
কম ঘুমের সঙ্গে যোগ রয়েছে কম খাওয়ার!
খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা অনেকেরই অভ্যাস। কিন্তু এটি কিছু ক্ষেত্রে কম ঘুম বা অনিদ্রার লক্ষণও হতে পারে। মর্নিং ক্রোনোটাইপের পাশাপাশি অনিদ্রা বা ইনসোমনিয়ার (insomnia risk) সঙ্গে যোগ রয়েছে খাওয়াদাওয়া সংক্রান্ত সমস্যাটির!
অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা (Anorexia nervosa) কেন ভয়ের
জামা নেটওয়ার্ক ওপেনে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। তাতে একটি বিশেষ ইটিং ডিসর্ডার অর্থাৎ খাওয়াদাওয়া সংক্রান্ত সমস্যার কথা বলা হয়েছে। যার পোশাকি নাম অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা। ইনসোমনিয়া অর্থাৎ অনিদ্রায় যারা ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের আশঙ্কা অনেকটাই বেশি বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তবে বিপদ আরও জোরালো। ঠিকমতো না খাওয়ার এই সমস্যা থেকে অবসাদ, বিঞ্জ ইটিং ডিসর্ডার (Binge eating disorder) ও ক্রিৎজোফ্রেনিয়া হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
কী বিপদ ঘটায় এই ইটিং ডিসর্ডার (eating disorder)
এর আগেও একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ইটিং ডিসর্ডার শরীরের বায়োক্লকের ক্ষতি করে। এ থেকে ঘুমের সমস্যাসহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা দেখেছেন, অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা ও ইনসোমনিয়ার জিনের মধ্যে যোগ রয়েছে। এমনকি ‘জিন রিস্ক স্কোর’ নামক পরীক্ষাতেও ধরা পড়েছে অনিদ্রার সমস্যা।
কী বলছেন গবেষক?
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের হাসান এস দস্তি আইএএনএসকে বলেন, অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা ও ইনসোমনিয়ার অনেকটাই যোগ রয়েছে। ওই ইটিং ডিসর্ডারটি কেন হয় তার নির্দিষ্ট কোনও কারণ জানা যায়নি। বরং চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্ত রোগীকে সারিয়ে তোলার হার মাত্র ৫২ শতাংশ। চিকিৎসকদের কথায়, ইটিং ডিসঅর্ডারটি আদতে একটি মনোরোগ। যার জেরে মৃত্যুর হার পৃথিবীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
আরও পডুন: Hair Problems: চুলের বৃদ্ধিতে সমস্যা? কম সময়ে কীভাবে লম্বায় বাড়বে আপনার চুল? পাতে রাখুন এই খাবারগুলি
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )