Bangladesh Anti Quota Protests: বাংলাদেশে মৃত বেড়ে ২৫, ছররা গুলি, কোপানোর ক্ষত নিহতদের শরীরে, গোটা দেশে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
Bangladesh Death Toll: দফায় দফায় পুলিশ, আওয়ামি লিগংর ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারীদের।
ঢাকা: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করল বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার দিনভর হিংসা, মারামারির সাক্ষী রইল দেশ। এর ফলে শুধু আজ সারাদিনেই ১৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বুধবার ছ'জনের মৃত্যু হয়। ফলে দু'দিনে মৃত্যুসংখ্যা ২৫-এ গিয়ে ঠেকল। এক সাংবাদিকও মারা গিয়েছেন বলে খবর। আজ দুপুর পর্যন্ত কয়েক শো আহত ছিলেন যেখানে, রাত গড়াতে গড়াতে তা বেড়ে হল ২৫০০-র বেশি। রাজধানী ঢাকা-সহ সর্বত্রই হিংসা ছড়িয়েছে। গোটা দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে। (Bangladesh Anti Quota Protests)
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন দফায় দফায় পুলিশ, আওয়ামি লিগংর ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারীদের। ঢাকা হাসপাতালে আন্দোলনকারীদের দেহ এসে পৌঁছেছে। নিহত সাংবাদিকের শরীরে ছররা গুলির ক্ষত পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একজনের মাথায় গভীর ক্ষত রয়েছে। তাঁকে কোপনো হয় বলে অনুমান করা হচ্ছে। মৃতদের মধ্যে পড়ুয়া ছাড়াও সাধারণ মানুষ রয়েছেন। (Bangladesh Death Toll)
বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো' জানিয়েছে, নিহত সাংবাদিককে হাসান মেহদি বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। তিনি 'ঢাকা টাইমস'-এ কর্মরত ছিলেন। ৩০ বছর বয়সি ওয়াসিম, আনুমানিক ২২ বছরের নাজমুল এবং ২০ বছরের মহম্মদকেও শনাক্ত করা গিয়েছে। মহম্মদের শরীরেও ছররা গুলির ক্ষত রয়েছে। পেশায় ব্যবসায়ী নাজমুল বাড়ি থেকে একটা কাজে বেরিয়েছিলেন। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
অন্য দিকে, নরসিংদিতে পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ বছর বয়সি তাহমিদ তামিম, ২২ বছরের মহম্মদ ইমন আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় দু'জনের। চট্টগ্রামেও দু'জন মারা গিয়েছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা গিয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র মহম্মদ ইমাদ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু'জনকে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আজ নিহত ১৯ জনে মধ্যে ১৩ জনই পুলিশ এবং ছাত্রলিগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন বলে খবর।
দেশের একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে খবর। ব্রডব্যান্ড বা মোবাইল, কোনও পরিষেবাই মিবছে না। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে খবর আসতেও দেরি হচ্ছে। কখন ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে, তা-ও জানা যায়নি। সরকারের নির্দেশেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জেনেছে BBC. ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত দেশে ১৫টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। ভাঙচুরও চলেছে। সেই আবহেই রাত ৯টা থেকে দেশে ইন্টারননেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।