Railway Privatisation Reform: সংবিধান বহির্ভূত সংস্থা নীতি আয়োগ কী করে লাগাতার লিজের ঘোষণা করে? কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূলের
National Monetisation Pipeline Plan. | অ্যাসেট মনিটাইজেশন পাইপলাইন প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রের। সংসদে আলোচনা ছাড়া, সংবিধান বহির্ভূত সংস্থা নীতি আয়োগ কী করে লাগাতার লিজের ঘোষণা করে? প্রশ্ন তৃণমূলের।
কলকাতা: বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তিকে বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দিয়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা কেন্দ্রের। ৪ বছরের এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন। রেল, বিমানবন্দর, টেলিকমের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের পড়ে থাকা সম্পত্তিকে ৪ বছরের জন্য লিজ দিয়ে এই টাকা তুলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। বিক্রি নয়, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লিজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণার আগে সংসদে, অর্থমন্ত্রকের কমিটিতে আলোচনা হয়নি। বিজেপির ইস্তেহারেও এই ধরনের ব্যাপক আর্থিক সংস্কারের কথা বলা হয়নি। নীতি আয়োগ কোনও সাংবিধানিক সংস্থা নয়। জনগণের সম্পত্তির পারপেচুয়াল লিস্ট দেওয়া হয়েছে। এই সম্পত্তির মধ্যে আছে ২৬, ৭০০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক, জাতীয় গ্যাস পাইপ লাইন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ৪০০টি রেল স্টেশনের বেসরকারিকরণ হচ্ছে।’
পাল্টা বিজেপি-র দাবি, ‘এটা লিজ, বিলগ্নীকরণ নয়। অযথা রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।’
সোমবার ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন প্ল্যানের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘যেখানে ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করা হয়েছে, সেই সম্পত্তিগুলি থেকে নতুন করে টাকা তোলাই কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য। সেই কারণেই ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। যে সম্পত্তিগুলি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে অথবা পুরোপুরি আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি কিংবা কম ব্যবহার করা হয়েছে, সেই সম্পত্তিগুলি ব্যবহার করে অর্থ সংগ্রহই লক্ষ্য।’
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বেসরকারি সংস্থাগুলিকে যুক্ত করে আমরা সম্পত্তিগুলিকে আরও ভালভাবে ব্যবহার করতে চাইছি। আমাদের হাতে যে সম্পত্তি আছে, সেগুলি যতটা সম্ভব ব্যবহার করাই আমাদের লক্ষ্য। এর ফলে পরিকাঠামো তৈরি করার জন্য আরও বেশি বিনিয়োগ আনা সম্ভব হবে। আমাদের সম্পত্তিগুলি আরও ভালভাবে কাজে লাগানোর সময় এসেছে।’