মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল কথোপকথন প্রকাশ্যে আনা ঠিক হয়নি, শাসক দলকে আক্রমণ সিপিএম-কংগ্রেসের, সমালোচনা বিজেপি-রও
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল সংঘাত ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কথোপকথন প্রকাশ্যে আনা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য সিপিএম-কংগ্রেসের। সমালোচনায় সরব বিজেপি-ও। একদিকে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, অন্যদিকে প্রশাসনিক প্রধান। রাজ্যপালের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অপমানের পর একসময় ভেবেছিলাম ছেড়ে দেব। এত অপমানিত জীবনে হইনি। উনি আমাকে থ্রেট করতে পারেন না। থ্রেট করেছেন ফোন করে। তিনি যোগ করেন, রাজ্যপালকে বলেছি, এভাবে কথা বলতে পারেন না। আমরা চাকর বাকর নই। কারও দয়ায় আসিনি। নবান্নে বসে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এরকমই একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতিতে তুলকালাম শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কী কথা হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী এভাবে প্রকাশ্যে বলতে পারেন কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম-কংগ্রেস। কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, মন্ত্রগুপ্তির শপথ নিয়েছেন। রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কী কথা জানি না। প্রকাশ্যে আনা ঠিক হয়নি। সংবিধান সম্মত কাজ করেননি। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও ট্যুইট করেছেন, আমরা সর্বদলীয় বৈঠক এবং সেনা নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। ফোনে কথা নিয়ে বিতর্ক কাম্য নয়। শান্তি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মেরুকরণের রাজনীতিকে হারাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিজেপির সুরে কথা বলার অভিযোগ তুলেছেন, তখন বিজেপিও পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যা খুশি করার অধিকার আছে নাকি? চাপানউতোরের মাঝে রাজভবনের তরফেও বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন, যে কোনও প্রকারে যেন আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় থাকে। রাজ্যের কোথাও কোনও গুরুতর ঘটনা ঘটলে, তা মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনা রাজ্যপালের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। রাজ্যপাল নির্বাক দর্শক হয়ে থাকতে পারে না।