Mahua Moitra : সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তদন্তে সিবিআই !
Cash For Questions Query : প্রসঙ্গত, হিরানন্দানি গ্রুপ দাবি করে, তারা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে মহুয়া মৈত্রকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।
নয়াদিল্লি : সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের (Cash for Query Controversy) অভিযোগে এবার মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তদন্তে সিবিআই। লোকপালের সুপারিশ মেনে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে বলেই সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, সংসদীয় এই ধরণের তদন্তের ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিভেশন (CBI) কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না, তল্লাশিও করতে পারে না। যদিও তাঁরা প্রয়োজনে তথ্য-প্রমাণ দেখতে চাইতে পারে। চালাতে পারে প্রশ্নোত্তর পর্বও। জানা যাচ্ছে, যেহেতু লোকপালের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হচ্ছে তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের তদন্তের পর যাবতীয় তথ্য দাখিল করবে দুর্নীতি-দমন শাখার কাছে। তবে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের বিতর্কে প্রথমে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে এথিক্স কমিটির ডেকে পাঠানো ও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indore Stadium) দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় দলের সাংসদের ওপর আস্থা রাখার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়াকে টার্গেট করা হচ্ছে ও বিজেপি সরকার বোকামি করছে বলেই তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কেন্দ্রের সরকার ব্যবহার করছে বলেও ফের একবার দাবি তুলেছিলেন তিনি। এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, হিরানন্দানি গ্রুপ দাবি করে, তারা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে মহুয়া মৈত্রকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। হিরানন্দানি গ্রুপের সিইও দর্শন হিরানন্দানি দাবি করেন, মহুয়া মৈত্রর ধারণা হয়েছিল, নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে গৌতম আদানি ও তাঁর গ্রুপকে আক্রমণ করা কারণ, দু-জনই একই রাজ্য গুজরাত থেকে এসেছেন। সাংসদ হিসাবে মহুয়া মৈত্রর যে ইমেল আইডি, সেটা তিনি আমাকে পাঠান, যাতে আমি তাঁকে আরও তথ্য দিতে পারি এবং তিনি সেগুলো সংসদে তুলতে পারেন। সেই প্রস্তাবে আমি রাজি হয়ে যাই।
যে ঘটনাক্রম নিয়ে তৃণমূল সাংসদকে তীব্র আক্রমণ শানায় বিজেপি। দেশের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগও তোলে তারা। তারপর এথিক্স কমিটির ডাক। যেখানে চলে আরও এক প্রস্থ বিতর্ক। অসম্মানজনক প্রশ্ন করা হয়েছে বলে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন মহুয়া ও বেশ কয়েকজন সাংসদ। উল্লেখ্য, রাজ্য হয়ে যাওয়া সদ্য-সমাপ্ত সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেও হাজির ছিলেন না আদানি ও হিরানন্দানি গোষ্ঠীর সদস্যরা। এদিকে, গোটা বিতর্ক শুরুর পরেই সিবিআই তদন্তের মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তত বলেই জানিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।