Air Pollution: উৎসবের মরশুমে বাড়ছে শঙ্কা, 'ক্ষতিকর' পর্যায় দিল্লির বাতাস
Delhi Pollution Update: কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী রবিবার সকালে আনন্দবিহার এলাকায় বাতাসে গুণমান ছিল ২৬৬।
নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে উৎসবের মেজাজ। কিন্তু শঙ্কা বাড়াচ্ছে দূষণ (Air Pollution)। বৃষ্টিপাতের পরও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বাতাসের গুণগত মান এখনও গুরুতর রাজধানীতে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী রবিবার সকালে আনন্দবিহার এলাকায় বাতাসে গুণমান ছিল ২৬৬। সকাল ৭টার হিসেব অনুযায়ী, আর.কে পুরমে বাতাসের গুণমান ছিল ২৪১, পাঞ্জাবি বাগ এলাকায় গুণমান ছিল ২৩৩।
বাতাসের মান: আলো ফুটলেও তা স্পষ্ট নয়। ধোঁয়াশার জেরে বাড়ছে চোখ জ্বালা। গত কয়েকদিনে এমনই পরিস্থিতি দিল্লির। বৃষ্টির পরও পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। বাতাসের গুণমান ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে তাকে ক্ষতিকর বলে ধরা হয়। ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে বাতাসের গুণমান থাকলে তা অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ৪০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে থাকলে পরিস্থিতি গুরুতর বলে ধরা হয়।
শুক্রবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দিল্লিতে। ধোঁয়াশা কাটিয়ে গতকাল কিছুটা ছন্দে ফিরেছিল দিল্লি। তবে এখনই যে স্বস্তি মিলছে না তা বোঝা গেল এদিনের পরিসংখ্যানে। এদিকে দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই জোড় বিজোড় নীতিতে গাড়ি চালাচ্ছে না তারা। আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে এই নিয়ম চালুর কথা জানিয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার। আপাতত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছে যে, দীপাবলির পর বাতাসের গুণগত মান কেমন থাকে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা উচিত কি না তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মারাত্মক দূষণে গত কয়েকদিন ধরে জেরবার অবস্থা হয়েছে দিল্লির। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-নির্দিষ্ট স্তরের ১০০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক পার্টিকলে ছেয়ে যায় রাজধানীর বাতাস। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহর হিসাবে একেবারে শীর্ষস্থানে থেকেছে দিল্লি। বিষাক্ত ধোঁয়াশার কারণে বাতাসের মান ক্রমশ কমতে থাকায় কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের জন্য আইআইটি-র সঙ্গে আলোচনা করছিল দিল্লি সরকার।
এদিকে দূষণের প্রকোপ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে শীতকালীন ছুটির আগেই ৯ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লির স্কুলগুলিতে। দিল্লির বাতাসের গুণমানের আরও অবনতি ঘটায় বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এর জন্য মূলত হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে ফসলের গোড়া পোড়ানোকে দায়ী করা হচ্ছিল। সেই নিয়ে আগেই কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র এবং রাজ্যের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করার পাশাপাশি, সকলকে একজোট হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: Diwali 2023: 'এই উৎসব সবার জীবনে আনুক আনন্দ, সমৃদ্ধি' শুভেচ্ছাবার্তা মোদির