Fraud Call : সতর্ক করছে 'DOT', এই কল ধরলেই হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি
কেন আচমকা ডটের তরফে এই ধরনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সবারই। যদিও টেলিকম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতারণামূলক কল থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম।
নয়াদিল্লি: সামান্য মোবাইলের কল ধরে নিজের বিপদ ডেকে আনতে পারেন আপনি। অচেতন গ্রাহকদের সচেতন করতে বার্তা দিয়েছে 'ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম'। আন্তর্জাতিক কল ধরার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সতর্ক হতে এই পরামর্শ দিয়েছে সরকার নিয়ন্ত্রিত টেলিকম বডি।
কী রয়েছে সেই সতর্কবার্তায় ?
ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম বা (DOT)-এর তরফে বলা হয়েছে, অনেক সময় আন্তর্জাতিক কলের ক্ষেত্রে গ্রাহকের ফোনে ভারতীয় নম্বর বা 'নো নম্বর' দেখাতে পারে। সেই ক্ষেত্রে সময় নষ্ট না করে ডটের টোল ফ্রি নম্বর ফোন করতে হবে গ্রাহককে। এই দুই নম্বর 1800110420 এবং 1963 ফোন করলেই গাইড করবে সংশ্লিষ্ট অপারেটররা। এই ধরনের পরিস্থিতিতে অনেক সময় গ্রাহকের কাছে কল এলেও 'No Number' দেখায়। যার অর্থ আপনার নম্বরে জাল বিছিয়ে প্রতারকরা। এই ফাঁদ থেকে বাঁচতে সরাসরি কল করুন ডটের টোল ফ্রি নম্বরে।
কেন আচমকা ডটের তরফে এই ধরনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সবারই। যদিও টেলিকম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতারণামূলক কল থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম বা (DOT)। তবে শুধু 'ডট' নয়, এই নিয়ে গ্রাহকদের বার্তা দিয়েছে টেলিকম অপারেটর সংস্থা এয়ারটেল। ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে লিখিত পরামর্শ রয়েছে তাদের। যেখানে কোম্পানির তরফে বলা হয়েছে, কোনও প্রাইজ, লটারি বা টাকা জেতার প্রলোভন কলে পা দেবেন না। এই ধরনের কলের মধ্যেই থাকে প্রতারণার ফাঁদ।
আন্তর্জাতিক কল ফ্রডের কেসে দেখা যায়, গ্রাহকের কাছে +92 +375 নম্বর বা অন্য কোনও দেশের কোড থেকে কল আসে। এই ধরনের ফোন কলে বেশিরভাগই লটারি বা পুরস্কার জেতার লোভ দেখানো হয়। আপনার সঙ্গে কথা বলার মাঝেই ষড়যন্ত্রের জাল বোনে প্রতারকরা। অনেক ক্ষেত্রে কল না করে টেক্সট মেসেজ বা মিস কলও দিতে পারে তারা। সেই ক্ষেত্রে অপরিচিত নম্বর থেকে মিস কল দেখলে রিটার্ন কল না করাই ভালো।
সম্প্রতি এমনই একটি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে শহর কলকাতায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জালিয়াতদের ফোন একবার রিসিভ করেছিলেন ব্যবসায়ী। তিনি কোনও তথ্য না দিলেও ফোন রিসিভ হতেই তাঁর সিম ক্লোন করে ফেলে জালিয়াতরা। তারপর ব্যবসায়ীর ফোনে যাতে ব্যাঙ্ক থেকে মেসেজ না আসে তার জন্য নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয় তাঁর ফোন। যেহেতু ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনের সঙ্গে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত ছিল তাই অ্যাকাউন্ট নম্বরও পেয়ে যায় জালিয়াতরা। এর পরই অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয় টাকা।