HMPV News : HMP ভাইরাসের মোকাবিলা কীভাবে ? অ্যান্টিবায়োটিকসের দরকার আছে ? জানুন প্রাক্তন AIIMS অধিকর্তার পরামর্শ
Virus Scare: চার বছর আগে, ঠিক এই জানুয়ারি মাসেই, সামনে এসেছিল ভারতে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর।
নয়াদিল্লি : HMP ভাইরাস কতটা ভয়ের ? করোনার মতোই দাপট দেখাবে না তো ? এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা কী ? এরকম একগুচ্ছ প্রশ্নের মধ্যেই AIIMS-এর প্রাক্তন অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া বললেন, Human Metapneumovirus-এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকসের কোনও ভূমিকা নেই। দেশে এই মুহূর্তে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা একটু ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে যথাযথ হাইড্রেশন বজায় রাখতে ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কথা বলছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা IANS-কে মেদান্ত গুরুগ্রামের ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারনাল মেডিসিনের রেসপিরেটরি ও স্লিপ মেডিসিনের চেয়ারম্যান গুলেরিয়া বলেন, এই ভাইরাসটা নতুন নয় এবং মৃদু সংক্রমণ দেখা দেয়। তিনি বলেন, "HMP ভাইরাস নোভেল নয়। এটা একটা পুরনো ভাইরাস। কিছু সময় ধরেই এই ভাইরাস রয়েছে। ভাইরাসে মূলত মৃদু অসুস্থতা দেখা যায়। কিন্তু বয়স বেশি হলে বা শিশু বা ছোট বাচ্চা এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে বা যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে, তাঁদের নিউমোনিয়া হতে পারে। ছোট বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। হাসপাতালেও ভর্তি করতে হতে পারে। এই ভাইরাসের একটা স্ব-নিয়ন্ত্রণ আছে। উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করাতে হবে। জ্বর হলে ওষুধ নিন, নিজেকে হাইড্রেট রাখুন এবং পুষ্টি গ্রহণ করুন। "
পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, "সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে জনবহুল এলাকায় যাওয়া এড়িয়ে যান।"
চার বছর আগে, ঠিক এই জানুয়ারি মাসেই, সামনে এসেছিল ভারতে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর। তখনও কেউ জানত না, সামনে কী দিন আসতে চলেছে। ছিল শুধু চাপা আশঙ্কা। বিশেষ করে বিদেশ-ফেরতদের নিয়ে। এখন HMP ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতেই সোশাল মিডিয়ায় অনেক ছবি ভাইরাল হতে শুরু করেছে। কেউ দাবি করছেন চিনের ছবি। পরিস্থিতি সেখানে ভয়ঙ্কর ! আরেকটি ভাইরাল ভিডিওতে আবার দাবি করা হয়েছে, গত ৬২ ঘণ্টায় চিনে ৭১ হাজার ৫৬৬টি অ্য়াকটিভ কেস সামনে এসেছে...। এই ভিডিওতেই দাবি করা হয়েছে HMPV-তে মৃত্য়ুর হার ৪৩ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ জন আক্রান্ত হলে ৪৩ জনের মৃত্য়ু হবে। কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিওগুলি কি আদৌ চিনের ? যে তথ্য় দেওয়া হচ্ছে, তা কি আদৌ সত্য়ি ? না কি ভয় ছড়ানোর কৌশল? আসল খবর কি চিন চেপে দিচ্ছে, না সত্য়িটা সামনে আসছে? যদিও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় দফতর আশ্বস্ত করে বলছে, ভয়ের কোনও কারণ নেই।