Nishikant Dubey: ‘ধর্মের নামেই মৃত্যুমিছিল কাশ্মীরে’, সংবিধান সংশোধনের দাবি তুললেন BJP সাংসদ নিশিকান্ত দুবে
Kashmir Terror Attack: ওয়াকফ আইন প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সম্পর্কে নিশিকান্তের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলছেই।

নয়াদিল্লি: নিরীহ পর্যটকদের রীতিমতো ধরে ধরে খুন। জঙ্গি হামলায় ফের রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। গোটা ঘটনায় নিরাপত্তায় গাফিলতি নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, সেই আবহে সংখ্যালঘুদের ধর্মচর্চা, সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকার খর্ব করার দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। (Nishikant Dubey)
ওয়াকফ আইন প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সম্পর্কে নিশিকান্তের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলছেই। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিরক বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা নিয়ে এবার সংবিধান সংশোধনের দাবি তুললেন নিশিকান্ত। (Kashmir Terror Attack)
বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু পোস্ট করেছেন নিশিকান্ত। তাঁর বক্তব্য, ‘হিন্দু-মুসলিমের নামে যখন দেশভাগ হয়েছিল, ভোটব্য়াঙ্কের জন্য মুসলিমদের বেশি অধিকার দিয়ে হিন্দুদের যারা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানিয়েছে, তাদের আজ বলতে হবে পহেলগাঁওয়ে ধর্মের নামে খুন হয়েছে কি না। ধর্মনিরপেক্ষ নেতাদের আজ লজ্জা হওয়া উচিত। পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরও আমাদের হবে। ধৈর্য ধরুন, মোদির সরকার আছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আছেন। সংবিধানের ২৬ থেকে ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদ তুলে দেয়ার সময় এসেছে’।
देश का बँटवारा जब हिंदू व मुसलमान के नाम पर हो गया तो केवल वोट बैंक के लिए अल्पसंख्यक के नाम पर मुसलमानों को ज़्यादा अधिकार देकर हिंदुओं को दोयम दर्जे का नागरिक बनाने वालों को आज पहलगाम की घटना पर बताना चाहिए कि आज की हत्या धर्म के आधार पर की गई या नहीं? लानत है सेकुलर वादी…
— Dr Nishikant Dubey (@nishikant_dubey) April 22, 2025
ভারতের সংবিধানের ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদ ধর্মীয় বিষয় পরিচালনার স্বাধীনতা দেয়। ধর্মীয় সংগঠনগুলির ধর্মস্থান নির্মাণ, সেগুলি পরিচালনা এবং দেখভালের অধিকারও রয়েছে ওই অনুচ্ছেদে। ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে ধর্মীয় কর থেকে মুক্তি, ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় উপাসনায় যোগদানের স্বাধীনতা রয়েছে। এর পাশাপাশি, ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষার কথা বলা হয়েছে, যার আওতায় নিজস্ব ভাষা, লিপি এবং সংস্কৃতি রক্ষার অধিকার দেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘুদের। সংবিধানের এই অংশই বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন নিশিকান্ত।
কাশ্মীরের ঘটনায় এদিন সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর স্বামী রবার্ট বঢরা। পর্যটকদের পরিচয় জেনে খুন করার ঘটনা. সরকারের দিকেই আঙুল তোলেন তিনি। বলেন, "জঙ্গিরা পর্যটকদের পরিচয় জানতে চাইছে। কেন? কারণ আজ দেশে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে।" রবার্টের এই মন্তব্য নিয়েও কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন নিশিকান্ত। তাঁর কথায়, "এই দুঃখের সময়ও গাঁধী পরিবার মুসলমান দেখতে পায়। কংগ্রেসের এই মানসিকতার জন্যই আজ দেশে ঘৃণার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে। সনাতন ধর্ম ভারতকে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বেঁধে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারত আজ সফল। সন্ত্রাসবাদীদের রক্ষকরা মরবে। ভারতের বাইরের শ্তরু আর দেশের অন্দরে মুসলিমদের উস্কাচ্ছেন যাঁরা, তাঁরাও নাস্তানাবুদ হবেন।"
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
