(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
অধ্যক্ষর কাছে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন শুভেন্দুর
এই চিঠি জমা পড়েছে বিধানসভার সচিবালয়ে। চিঠিতে অবিলম্বে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেছেন, এখনও চিঠি হাতে পাইনি।
কলকাতা: আনুষ্ঠানিকভাবে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে লেখা হল চিঠি। এই চিঠি জমা পড়েছে বিধানসভার সচিবালয়ে। চিঠিতে অবিলম্বে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেছেন, এখনও চিঠি হাতে পাইনি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে মুকুল রায়ের। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জিতেছেন মুকুল। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের পর শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, কীভাবে দলত্যাগ বিরোধী আইন রূপায়ন করতে হয়, তা তাঁর জানা আছে। মুকুল রায় নিজে থেকে পদত্যাগ না করলে তিনি এই আইন রূপায়নের পথে হাঁটবেন।
অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ট্যুইট করে বলেছেন, ‘মুকুল রায় গত সপ্তাহে সর্বসমক্ষেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর দলত্যাগ নিয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই। রাজনীতি নিজের পথে এগোবে। তবে আইন তাঁর পদত্যাগ দাবি করে। কারণ তিনি বিজেপির প্রতীকে জিতে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। আশা করা যায় তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন, যেভাবে ২০১৭ সালে রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন... ‘সেই পথই তিনি অনুসরণ করবেন।’
শুভেন্দু অধিকারী গতকাল বলেছিন, ‘মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সব প্রক্রিয়া শেষ। আজ বিধানসভার রিসিভ সেকশন বন্ধ ছিল। কাল সকাল এগারোটায় ফের বিধানসভায় যাওয়া হবে। কালও রিসিভ সেকশন বন্ধ থাকলে অধ্যক্ষকে ইমেল পাঠানো হবে।’
উল্লেখ্য, এই ইস্যুতে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, শুভেন্দুর আগে উচিত তাঁর বাবা শিশির অধিকারীকে দলত্যাগ বিরোধী আইনের পাঠ দেওয়া। উল্লেখ্য, মুকুল রায় তাঁর ইস্তফা দানের বিষয়টি সিদ্ধান্ত দল নেবে বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছিল। ভোটের পর আবার উল্টো স্রোত। বিশেষ করে সপুত্র মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই আরও তাঁর অনুগামী নেতাদেরও পুরানো দলে ফিরে আসার জল্পনা জোরদার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বিধায়কও থাকতে পারেন বলে জল্পনা। এরইমধ্যে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তিনি বিরোধী দলনেতা। দলত্যাগ বিরোধী আইন কীভাবে কার্যকর করতে হয়, তা তাঁর জানা আছে।
গত সোমবার দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে করে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে রাজভবনের খোলা বারান্দায় বৈঠক করেন জগদীপ ধনকড়।রাজভবনের বাইরে বেরিয়ে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবি জানিয়ে, মুকুল রায়ের উদ্দেশে সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক আশা করব বুধবারের মধ্যে পদত্যাগ করবেন। নইলে রাজ্যপালের কাছে আবেদন করব। বিধানসভার অধ্যক্ষ ব্যবস্থা না নিলে আইনের দ্বারস্থ হব।