'তৃণমূল অক্সিজেন পার্লার, মমতা অক্সিজেন সিলিন্ডার', মুকুলের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে মন্তব্য কাঞ্চনের
এ দিন তিনি আরও বলেন, 'অন্য দলে গেলে এই অক্সিজেন মিলবে না। তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতারা খাবি খাওয়া মাছেদের মতো ফিরে আসছে'।
হুগলি: 'তৃণমূল দলটা হল অক্সিজেন পার্লার। আর অক্সিজেন সিলিন্ডার হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল-সহ একাধিক নেতাদের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক।
এ দিন তিনি আরও বলেন, অন্য দলে গেলে এই অক্সিজেন মিলবে না। তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতারা খাবি খাওয়া মাছেদের মতো ফিরে আসছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার কুণাল ঘোষের বাড়িতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচমকা উপস্থিতি, রাজ্য-রাজনীতিতে যে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে, তা অব্যাহত রইল রবিবারও। তাহলে কি মুকুল রায়ের পর তৃণমূলে ঘরওয়াপসি হচ্ছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়েরও? এই জল্পনা যতই ঘুরপাক খাচ্ছে, ততই রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে বাড়ছে বিরোধিতার সুর।
কখনও নাম না করে, আবার কখনও নাম করেই প্রাক্তন বনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পরপর পোস্টার পড়ছে তাঁরই নির্বাচনী এলাকা ডোমজুড়ে। শনিবাসরীয় সন্ধেয় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাড়িতে হঠাত্ই হাজির হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখযোগ্য ভাবে তাঁর গাড়িতে দেখা যায় মা-মাটি-মানুষ লেখা উত্তরীয়, তৃণমূলের ব্যাজ। দুই নেতার মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। আর এর পরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে ফেরানো নিয়ে বিরোধিতা শুরু হয়েছে তৃণমূল শিবিরে। একাধিক মন্তব্যও করেছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কুণাল ঘোষের কাছে গেলো বলে কি গঙ্গাজলে শুদ্ধ হয়ে গেলো নাকি? ও আমাদের কর্মিদের উপর অত্যাচার করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তাড়া করিয়েছে।
তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের আশায় বিজেপির যেসব নেতারা দিন গুনছেন, তাঁদের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন দলের তারকা বিধায়কদের একাংশ। কাঞ্চন মল্লিকের পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, এ ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।
যদিও এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। তাহলে কি বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে রাজীবের? আগামীদিনে কি তাঁকে ফের দেখা যেতে পারে দলবদলের মঞ্চে? এসবপ্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে।