Chandrayaan-4 Mission: একযাত্রায় দু’দফায় উৎক্ষেপণ, ঠিক যে কারণে চন্দ্রযান-৪ অভিযান জটিল
ISRO News: ল্যান্ডার রোভার এবং প্রপালসন মডিউল, এই তিনটি অংশকে একত্রিত করে চন্দ্রযান-৩ গড়ে তোলা হয়। আরও বাড়তি দু’টি অংশ থাকছে চন্দ্রযান-৪ অভিযানে।
![Chandrayaan-4 Mission: একযাত্রায় দু’দফায় উৎক্ষেপণ, ঠিক যে কারণে চন্দ্রযান-৪ অভিযান জটিল ISRO Lunar Mission Chandrayaan 4 will be launched in two phases Chandrayaan-4 Mission: একযাত্রায় দু’দফায় উৎক্ষেপণ, ঠিক যে কারণে চন্দ্রযান-৪ অভিযান জটিল](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/03/06/1c339e2e8f602f765b934ba8ba0a32d81709708493230338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: পালকের মতো চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েছে ভারত। তার পর প্রথম সৌরযান থেকে কৃষ্ণগহ্বর অধ্যয়নে মহাকাশযান প্রেরণ, একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়েছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. এই মুহূর্তে চন্দ্রযান-৪ অভিযান নিয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে। তবে চন্দ্রযান-৪ অভিযান আগের সব অভিযানের থেকে একেবারে আলাদা হতে চলেছে। কারণ চাঁদের মাটি ছোঁয়া এবং সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসার লক্ষ্যপূরণে পৃথক ভাবে দু’দফায় মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। (Chandrayaan-4 Mission)
এর আগে, ল্যান্ডার রোভার এবং প্রপালসন মডিউল, এই তিনটি অংশকে একত্রিত করে চন্দ্রযান-৩ গড়ে তোলা হয়। আরও বাড়তি দু’টি অংশ থাকছে চন্দ্রযান-৪ অভিযানের ক্ষেত্র, যা চাঁদের মাটি থেকে মাটি, পাথর সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে। সবমিলিয়ে মোট পাঁচটি অংশ, প্রপালসন মডিউল, ডিসেন্ডার মডিউল, অ্যাসেন্ডার মডিউল, ট্রান্ফার মডিউল এবং রি-এন্ট্রি মডিউল। (ISRO News)
১) চন্দ্রযান-৩ অভিযানের মতোই প্রপালসন মডিউল থাকছে, যা চন্দ্রযান-৪কে পথ দেখিয়ে চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাবে। তার পর আলাদা হয়ে যাবে চন্দ্রযান-৪ থেকে।
২) ডিসেন্ডার মডিউল চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডারকে নামাতে ব্যবহার করা হবে। ঠিক যে ভাবে চন্দ্রযান-৩ অভিযানের ক্ষেত্রে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’কে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করানো হয়েছিল।
৩) চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাটি, পাথর সংগ্রহ এবং মজুত করা হলে, ল্যান্ডার থেকে আলাদা হয়ে যাবে অ্যাসেন্ডার মডিউল। পৃথিবীর অভিমুখে যাত্রা শুরু করবে সেটি।
৪) মাঝপথে অ্যাসেন্ডার মডিউলের হাত ধরবে ট্রান্সফার মডিউল। অ্যাসেন্ডার মডিউলকে চাঁদের কক্ষপথ থেকে বের করে আনবে। তার পর অ্যাসেন্ডার মডিউল থেকে আলাদা হয়ে যাবে চাঁদের মাটি এবং পাথরে ভর্তি ক্যাপসুলটি।
৫) এর পর কাজে নামবে রি-এন্ট্রি মডিউল। অ্যাসেন্ডার মডিউল থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া চাঁদের মাটি এবং পাথর ভর্তি ক্যাপসুলটি নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে সেটি।
ছবি: ISRO Spaceflight.
আরও পড়ুন: Heaviest Black Hole Pair: ২৮০০ সূর্যের সমান ওজন, মহাশূন্যে খোঁজ মিলল অতি ভারী জোড়া কৃষ্ণগহ্বরের
আগের তুলনায় অনেক জটিল প্রক্রিয়া বলেই দু’-দফায় উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে ভারী যে উৎক্ষেপণযান, LVM-3 ব্যবহার করে প্রথমে তিনটি উপাদান একত্রে রওনা দেবে, যেগুলি হল, প্রপালসন মডিউল, ডিসেন্ডার মডিউল এবং অ্যাসেন্ডার মডিউল। এই উৎক্ষেপণ চন্দ্রযান-৩ অভিযানের মতোই হবে।
এর পর, PSLV উৎক্ষেপণযানে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হবে ট্রান্সফার মডিউল এবং রি-এন্ট্রি মডিউল। তবে কোনটির উৎক্ষেপণ আগে এবং কোনটির পরে, তা এখনও খোলসা করেনি ISRO. তবে এক অভিযানকে ঘিরে দুই উৎক্ষেপণ এই প্রথম। অভিযান সফল হলে চাঁদের বুক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনা চতুর্থ দেশ হিসেবে নয়া ইতিহাস রচনা করবে ভারত।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)