Science: ইন্টারনাল ব্লিডিং বন্ধ করতে কৃত্রিম সিস্টেম MIT-র গবেষকদের
Scientists Of MIT: ইন্টারনাল ব্লিডিং বা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ। দুর্ঘটনা বা অন্যান্য আঘাতের ক্ষেত্রে মর্মান্তিক পরিণতির অন্যতম বড় কারণ এটি। কিন্তু কোনও ভাবে এই অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ যদি আটকানো যায়, তা হলে?
কেমব্রিজ (ম্যাসাচুসেটস): ইন্টারনাল ব্লিডিং (Internal Bleeding) বা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ। দুর্ঘটনা (Accident) বা অন্যান্য আঘাতের (Traumatic Injury) ক্ষেত্রে মর্মান্তিক পরিণতির অন্যতম বড় কারণ এটি। কিন্তু কোনও ভাবে এই অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ যদি আটকানো যায়, তা হলে? এই লক্ষ্যেই একটি কৃত্রিম সিস্টেম (Artificial System) তৈরি করেছেন MIT-র গবেষকরা। সহজ করে বললে, এই সিস্টেমের মূল কাজ ইন্টারনাল ব্লিডিং বন্ধ করে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে আরও বেশিক্ষণ লড়াইয়ের সময় করে দেওয়া যাতে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসার সুযোগটুকু পান।
কী রয়েছে এই সিস্টেমে?
অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ থামাতে দু'টি উপাদান দিয়ে একটি মেটিরিয়াল বা উপকরণ তৈরি করেছেন MIT-র গবেষকরা। এই উপকরণ শরীরে ইনজেক্ট করলে যেখানে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সেখানে রক্ততঞ্চনের প্রক্রিয়া শুরু করতে সাহায্য করে। গবেষকদের দাবি, দেহে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যে ভাবে রক্ততঞ্চন হয় সেই একই প্রক্রিয়া এই উপকরণ কৃ্ত্রিম ভাবে শুরু করতে সাহায্য করে। MIT-র ওই গবেষকদের আশা, এর ফলে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম কোনও ব্যক্তি যাঁর হয়তো একাধিক ইন্টারনাল ব্লিডিং হচ্ছে, তাঁর দেহে কৃত্রিমভাবে রক্ততঞ্চন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে। হাসপাতালে পৌঁছনোর সময়টুকু পাবেন তিনি, চিকিৎসায় জীবন ফিরে পাওয়ার আশাও বাড়বে। গবেষণাপত্রটি জার্নাল অ্যাডভান্সড হেলথকেয়ার মেটেরিয়ালসে প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে ইঁদুরের উপর করা ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ন্যানোপার্টিকল ও পলিমার দিয়ে তৈরি এই নয়া উপকরণ এতদিন পর্যন্ত ইন্টারনাল ব্লিডিং বন্ধে যে হেমোস্ট্যাটিক মেটেরিয়াল ব্যবহার করা হত তার থেকে অনেক বেশি কাজে দিচ্ছে।
আর কী?
গবেষকদলের অন্যতম সদস্য পলা হ্যামন্ড অবশ্য এর পাশাপাশি আরও একটি দিকের কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, 'প্রাণীদের উপর এই উপকরণ প্রয়োগের গবেষণা থেকে আমরা আরও যেটা দেখেছি, সেটা হল গুরুতর আঘাত থেকে দুরন্ত ভাবে সেরে ওঠা।' বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সাধারণত অভ্যন্তরীণ চোট লাগলে রক্তের অনুচক্রিকা বা প্লেটলেট আঘাতের জায়গায় দ্রুত পৌঁছে গিয়ে রক্ততঞ্চন প্রক্রিয়া শুরু করে। ধীরে ধীরে অনুচক্রিকার থকথকে একটি আস্তরণ তৈরি হয়, তৈরি হয় তঞ্চনের জন্য জরুরি প্রোটিন যার মধ্যেই থাকে ফাইব্রিনোজেন। কিন্তু কোনও কারণে খুব বেশি রক্তপাত হতে থাকলে যথেষ্ট পরিমাণ তঞ্চনের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অনুচক্রিকা বা ফাইব্রিনোজেন থাকে না। তখনই বিপদের আশঙ্কা। এই নয়া গবেষণা সেই সমস্যা সমাধানে অনেকাংশে কাজে দেবে, আশা গবেষকদের।
আরও পড়ুন:নামীদামি সংস্থার নাম তালিকায়, গুণমান পরীক্ষায় ব্য়র্থ নিত্য ব্যবহারের ৪৮টি ওষুধ