Kuldeep Yadav: পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৯ শিকার, কার দিকে আঙুল দেখিয়ে ইঙ্গিত করলেন কুলদীপ?
Asia Cup 2023: প্রথমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট। তারপর গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪ শিকার। এশিয়া কাপে বল হাতে ম্যাজিক দেখাচ্ছেন চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)।
কলম্বো: প্রথমে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে ৫ উইকেট। তারপর গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪ শিকার। এশিয়া কাপে বল হাতে ম্যাজিক দেখাচ্ছেন চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পর সতীর্থ সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) সঙ্গে আড্ডা মারলেন কুলদীপ। পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। কী কথাবার্তা হল দুই সতীর্থের?
সূর্যকুমার যাদব: অনেক অভিনন্দন কুলদীপ যাদব। ২ ম্যাচে ৯ উইকেট নেওয়ার জন্য। নিজের বোলিং নিয়ে কী বলতে চাও?
কুলদীপ যাদব: ধন্যবাদ। বেশি কিছু বলব না। নিজের বোলিং উপভোগ করছি। গত ২ বছরে বোলিং নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছি। এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী। ছোট ছোট কয়েকটা ব্যাপার অনুসরণ করছি। যেমন অনেক বেশি আগ্রাসী হয়েছি। সব সময় ভাল লেংথে বল করতে চাই। অনেক ছোট ছোট ব্যাপার হতে থাকে যা টিভিতে দেখা যায় না। যেমন ম্যাচের আগে তোমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। তুমি মিনিট দুয়েকের জন্য পেপ টক দিয়েছিলে। বলেছিলে, আলগা দিলে হবে না। কখনও সখনও ৫ উইকেট পেলে একটা আত্মতুষ্টি চলে আসতে পারে। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা যায় ৫ উইকেট পেলে। তবে ঢিলেমি চলে আসতে পারে। আমি মানসিকভাবে তৈরি ছিলাম। যে বল করার সুযোগ পেলেই নিজের সেরাটা দেব ও উইকেট তুলব।
সূর্যকুমার: টানা ৩ দিন ম্যাচ খেললে। নিজেকে ধরে রাখলে কী করে? বিশেষ করে এত গরমে?
কুলদীপ: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০ ওভার বল করেছিলাম। তারপর হোটেলে ফিরে ভালভাবে খাবার খাই। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ উঠি। ব্রেকফাস্ট ভাল হয়েছিল। ভারতের হয়ে খেললে এমনিতেই প্রেরণার অভাব থাকে না। হাতে আর একটা ম্যাচ রয়েছে। মনে মনে ঠিক করে নিই, আর একটা ম্যাচে ভাল খেলতে হবে।
সূর্যকুমার: প্রথম উইকেট পেয়েছিলে স্টাম্পিংয়ে। তারপরই কে এল রাহুল বা রোহিত শর্মা, কারও দিকে তাকিয়ে এক আঙুল উঁচিয়ে ইঙ্গিত করছিলে। কী ব্যাপার?
কুলদীপ: ওটা কে এল ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে করেছিলাম। আসলে কে এল ভাই পরামর্শ দিয়েছিল, বল যখন এত ঘুরছে, অফস্টাম্পের একটু বাইরে থেকে আন। তার আগে পর্যন্ত বল উইকেটে করছিলাম। তাই ব্যাটার পরাস্ত হলেও উইকেট পাচ্ছিলাম না। তাই পরিকল্পনা করেছিলাম। আগের দিন শাদাবকেও আউট করেছিলাম পরিকল্পনা করে। এর কৃতিত্ব কে এল ভাইয়েরও।
ফিল্ডিং করতে এসে দারুণ একটা ক্যাচ ধরেছিলে তুমি। ম্যাচের মধ্যে না থাকলেও কীভাবে মাঠে নেমে এভাবে সেরাটা দাও? ম্যাচের মোড় ঘোরানো ক্যাচ ছিল ওটা...
সূর্যকুমার: ভারতের হয়ে খেললে এমনিতেই উদ্বুদ্ধ থাকে সবাই। পাশাপাশি অনেক কঠিন পরিশ্রমও থাকে। যারা খেলছে না, তারাও মুখিয়ে থাকে। কখন সুযোগ পাবে আর নিজের সেরাটা দেবে তার জন্য। কারও পরিবর্ত হিসাবে মাটে ফিল্ডিং করতে নামলে আমার লক্ষ্যই থাকে কীভাবে একটা ভাল রান আউট করে বা ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারি। এর জন্য ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ স্যরের সঙ্গে ৩০-৪০ মিনিট করে প্র্যাক্টিস করি। এমনিতেই মাঠে এত প্রাণবন্ত সব চরিত্র। বিরাট ভাই, রোহিত ভাই, হার্দিক।
আরও পড়ুন: ২০১৮ সালে ফাইনালে তোলা কোচকেই ফের সন্তোষ ট্রফির জন্য বাংলা দলের দায়িত্ব দেওয়া হল
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন