Ghana vs Uruguay: ঘানাকে হারিয়েও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল উরুগুয়ে
GHA vs URU: উরুগুয়ে ঘানার বিরুদ্ধে ২-০ জিতলেও, পর্তুগাল দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ২-১ হারায় বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে হল সুয়ারেজদের।
দোহা: ২০১০ সালে বিশ্বকাপের (FIFA WC) কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে-ঘানার ম্য়াচ (Ghana vs Uruguay) আজও সবার স্মৃতিতে অমলিন। আরও স্পষ্ট করে বললে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে হাত দিয়ে লুই সুয়ারেজের নিশ্চিত গোল আটকে দেওয়া এবং তার ফলশ্রুতিতে আসামোয়া জিয়ান পেনাল্টি মিস করায় সুয়ারেজের সেলিব্রেশন এখনও ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে স্পষ্ট। সেবার ঘানাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করেছিল উরুগুয়ে। সেই ঘটনার ১২ বছর পর ফের একবার ঘানার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছিল উরুগুয়ে।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
এইবার গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হলেও, প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছতে হলে উভয় দলেরই ম্য়াচ জিততেই হত। তাই গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও ছিল নক আউটের আবহ। কথায় আছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। এই ম্যাচেও যেন হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলল। উরুগুয়ে গোলরক্ষক সার্জিও রচেত ঘানার মহম্মদ কুডুসকে ফাউল করায় ভিএআরের সহায়তায় রেফারি পেনাল্টি দেন। আন্দ্রে আয়ুর সামনে ১২ বছর পুরনো ক্ষতে মলম লাগানোর সুযোগ ছিল বটে। তবে এবারেও ঘানার তারকা পেনাল্টি মিস করলেন। আয়ুর দুর্বল পেনাল্টি বাঁচাতে উরুগুয়ে গোলরক্ষকের তেমন কোনও সমস্যায় হয়নি।
এই পেনাল্টি সেভের পরেই উরুগুয়ে ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। ডারউইন নুনিয়েজের এক সুন্দর চিপ শট মহম্মদ সালিসু দারুণভাবে গোললাইন থেকে বাঁচিয়ে দেন। তবে মিনিট কয়েক পরেই উরুগুয়ে এগিয়ে যায়। সুয়ারেজের শট ঘানা গোলরক্ষক বাঁচিয়ে দিলেও, জর্জিয়ান দে আরাসকাইতার (Giorgian de Arrascaeta) কাছে ফিরতি বল চলে যায়। আরাসকাইতা কার্যত ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে দিতে কোনও ভুল করেননি। আরাসকাইতার দ্বিতীয় গোলেও সুয়ারেজের অবদান ছিল। প্রথম গোলের ছয় মিনিট পরে, ম্যাচের ৩২তম মিনিটে সুয়ারেজের এক ঠিকানা লেখা পাস থেকে পেনাল্টি বক্সের বাঁ- দিকে বল পান আরাসকাইতা। দুরন্ত ভলিতে তিনি ম্যাচে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন।
পট পরিবর্তন
প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকলেও, ঘানা দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে গোলের জন্য ঝাঁপায়। ওসমান বুখারি ও আঁতোয়া সেমেনো ভাল সুযোগ পেয়েও বল তেকাঠির মধ্যে রাখতে পারেননি। কুডুসের দুরপাল্লার দুরন্ত শট বাঁচিয়ে দেন রচেত। উরুগুয়ের হয়ে ফাকুন্দো পেলেস্ট্রি ও ফেডরিকো ভালভার্দে গোলের সুযোগ পেলেও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন। তবে তখনও হিসেব মতো উরুগুয়ের নক আউটের টিকিট পাকা ছিল, তাই তেমন কিছু মনে হয়নি। ছবিটা বদলায় মিনিট কয়েক পরেই। হোয়াং হি চ্যান ৯১ মিনিটে অপর ম্যাচে পর্তুগালের বিরুদ্ধে গোল করায় উরুগুয়েকে পিছনে ফেলে নক আউটের দৌড়ে এগিয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়াই।
সেই খবর পেতেই ততক্ষণে বেঞ্চে বসা সুয়ারেজ কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেষের দিকে এডিনসন কাভানিকে ফাউল করায় পেনাল্টি দাবি জানানো হয় উরুগুয়ের তরফে। তবে রেফারি তাতে কর্ণপাত করেননি। শেষমেশ উরুগুয়ে ২-০ জিতলেও, পর্তুগাল দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ২-১ হারায় বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে হল উরুগুয়ে। দক্ষিণ কোরিয়া উরুগুয়ের থেকে বেশি গোল করায় বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন সুয়ারেজরা।
আরও পড়ুন: গ্রুপ পর্ব থেকে জার্মানি ছিটকে যাওয়ার পরই অবসরের ইঙ্গিত দিলেন মুলার