Gold Medalist Neeraj Chopra: অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের পর গোটা শরীরে যন্ত্রণা হচ্ছিল, কিন্তু সব কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম : নীরজ চোপড়া
টোকিওয় ম্যাচের পর তাঁর শরীরে খুব যন্ত্রণা হচ্ছিল। কিন্তু, ঐতিহাসিক সাফল্য তাঁকে যন্ত্রণা ভুলিয়ে দেয়। জানালেন জ্যাভলিনে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া।
নয়া দিল্লি : দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর রাজকীয় সংবর্ধনা । পরে অশোকা হলে সংবর্ধনা । সদ্য অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকে ভারতের জন্য জ্যাভলিনে সোনা জেতার পর থেকে শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন নীরজ চোপড়া। দেশে ফিরে শেয়ার করলেন সোনা জয়ের পর মুহূর্তের অভিজ্ঞা। তিনি জানান, টোকিওয় ম্যাচের পর তাঁর শরীরে খুব যন্ত্রণা হচ্ছিল। কিন্তু, ঐতিহাসিক সাফল্য তাঁকে যন্ত্রণা ভুলিয়ে দেয়।
আজ দেশে ফেরার পর সরকারের তরফে দেশের হয় টোকিও অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সাত অ্যাথলিটকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নীরজ। তিনি বলেন, আমি জানি যে বিশেষ কিছু করেছি। আমি মনে করি, ব্যক্তিগতভাবেও সবথেকে সেরা সাফল্য লাভ করেছি। থ্রো-টা সত্যিই খুব ভাল ছিল। পরের দিনেই আমার শরীর বুঝতে পেরেছিল কতটা স্পেশাল ছিল তা। সারা শরীরে যন্ত্রণা করছিল। কিন্তু, কিছু মনে হয়নি। গোটা দেশের জন্য এই পদক।
২৩ বছরের এই সেনাকর্মীর দেশের ক্রীড়াবিদদের জন্য একটাই বার্তা, কখনোই ভয় করবে না। তিনি বলেন, আমি শুধু বলতে চাই, বিরোধী পক্ষে কে রয়েছে, সেটা ব্যাপার নয়। নিজের সেরাটা দাও। এই সোনার পদকটাও তাই থেকেই এসেছে। বিরোধীকে কখনোও ভয় করবে না।
এর পাশাপাশি আজ একটি সাক্ষাৎকারে নীরজ বলেন, "প্রতি খেলোয়াড়ই পরিশ্রম করেন। আমিও পরিশ্রম করেছি। আমি যা স্বপ্ন দেখেছিলাম তা পূরণ করতে পেরেছি। প্রথম থেকেই পদক পাব ভাবিনি। খেলা শুরু করেছিলাম। পরিশ্রম করেছি। ঈশ্বরের আশীর্বাদে মেডেল জিততে পেরেছি।"
প্রসঙ্গত, ৮৭.৫৮ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করে এবার অলিম্পিক্সে সোনা জেতেন নীরজ। এবারের অলিম্পিক্সে এটাই একমাত্র সোনা ভারতের। এর আগে ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতেছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। সেটাই এতদিন অলিম্পিক্সে ভারতের একমাত্র ব্যক্তিগত সোনা ছিল। এবার অভিনবর সঙ্গে একাসনে নীরজ।
তাছাড়া স্বাধীন ভারতে এই প্রথম অলিম্পিক্সে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে পদক এল।