Actress Swastika Exclusive: ১১টা অডিশনে বাতিল, পরিচালকদের ফোন করে কারণ জানতে চেয়েছি: স্বস্তিকা
পিতৃশোক ভুলে মাঠে নেমে সেঞ্চুরি করা বা শেষকৃত্য করে ব্যাট হাতে ২২ গজে নেমে পড়া, এই ছবি একাধিকবার দেখেছে ক্রিকেট মাঠ। ময়দানে এই ছবি বিরল হলেও নতুন নয়। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ফিরে এসেছিলেন সচিন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkar), কিন্তু শেষকৃত্য সেরেই ফিরে গিয়েছিলেন মাঠে। কিনিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন সেই ম্য়াচে। বাবার মৃত্যুর পর দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলিও (Virat Kohli)। কিন্তু সিনে দুনিয়ায়? যেখানে পেশার সঙ্গে লতায় পাতায় জড়িয়ে রয়েছে অনুভূতি, বাবার মৃত্যুর দিনেও কতটা কঠিন নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে চরিত্রের আবেগকে ফুটিয়ে তোলা? সকাল থেকে বাবাকে নিয়ে জমে মানুষে টানাটানি যেদিন, সেইদিনও মুখে মেকআপ করে লাইটস-ক্যামেরা-অ্যাকশানের জন্য তৈরি হওয়া নেহাত সহজ নয়। কিন্তু স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে (Swastika Mukherjee) 'শ্রীমতী' সাজতে হয়েছিল সেইদিনও, যেদিন তিনি জীবনের সবচেয়ে বড় অবলম্বনকে হারিয়ে ফেলেছিলেন ।
কাছের মানুষকে হারিয়েও যথারীতি অভিনয় করে যাওয়া.. অভিনয়ের আড়ালে যে মানুষটা থাকে, তাঁর জন্য সহজ বিষয়টা? এবিপি লাইভকে স্বস্তিকা বললেন, 'সবচেয়ে কঠিন কাজ। কিন্তু আমি এটা দেখেই বড় হয়েছি। ঠাকুরদা যেদিন মারা গিয়েছিলেন, বাবা ৩টে পর্যন্ত শ্যুটিং করেছিলেন। তখন টেকনিশিয়ান ২ ছিল। শ্যুটিং শেষ করে সরাসরি কোঠারি হাসপাতালে চলে গিয়েছেন। তারপর কাগজে সই করে সবসময় নিয়ম পালন করেন। বাবা সেইদিনের শ্যুটিংটা বাতিল করতে পারেননি কারণ সেইদিনের পর স্টুডিও পাওয়া যেত না। সেই রাতে শ্যুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সেট ভেঙে ফেলা হত। বাবা ঠাকুরদার মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন ৯টার সময় আর শ্যুটিং করেছিলেন ৩টে পর্যন্ত।'