PAN Card Scam: অনলাইনে প্যান কার্ডের আবেদন করছেন ? ৭.৭ লক্ষ লুট হয়েছে প্রবীণের- এই ভুল আপনিও করছেন না তো ?
PAN Card Scam Online: এমনই একটি ঘটনায় সাধারণ প্যান কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে ৭.৭ লক্ষ টাকা খোয়ালেন কানপুরের প্রবীণ। এই ভুল আপনিও করছেন না তো ?
PAN Card Online: ভারত এখন ডিজিটাল রূপান্তরের এক পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মুদিখানার সামগ্রী অনলাইনে অর্ডার করা থেকে শুরু করে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি যেমন আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড সবই অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে। আর এই ডিজিটাল দুনিয়াতেই (PAN Card) বহুলভাবে বেড়ে চলেছে প্রতারণার ঘটনা। জালিয়াতরা নিত্য নতুন উপায়ে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লুট করছেন। এমনই একটি ঘটনায় সাধারণ প্যান কার্ডের (PAN Card Fraud Online) জন্য অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে ৭.৭ লক্ষ টাকা খোয়ালেন কানপুরের প্রবীণ। এই ভুল আপনিও করছেন না তো ?
ঘটনা কী ঘটেছিল
কানপুরের সর্বোদয় নগরের নভশীল মোতি বিহারের বাসিন্দা সুরেশ চন্দ্র শর্মার সঙ্গেই ঘটেছে এই জালিয়াতির ঘটনা। তাঁর নাতি কনিষ্ক পাণ্ডের জন্য একটি প্যান কার্ডের আবেদন করতে বসেছিলেন সুরেশ। কনিষ্ক থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ১০ নভেম্বর অনলাইনে প্যান কার্ডের আবেদনের জন্য খোঁজ করতে করতে একটি কাস্টমার সার্ভিস হেল্পলাইন পান সুরেশ এবং তাঁকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে ফোন করেন। ফোনের ওপার থেকে দুজন নিজেদের কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ হিসেবে পরিচয় দেন, তাদের নাম যথাক্রমে অবিনাশ অবস্তী এবং রাজীব রঞ্জন। তাদের নির্দেশমত নাতির প্যান কার্ডের আবেদনের একজন গ্যারান্টার হিসেবে তাকেও প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের তথ্যাদি জমা দিতে হয়। আর এতেই ঘটে বিপত্তি।
জালিয়াতরা পরপর দুবার বেআইনি লেনদেনের মাধ্যমে যথাক্রমে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা লুট করে নেয় সেই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে। ৭.৭ লক্ষ টাকা লুট করে জালিয়াতরা। প্রবীণ সেই ব্যক্তি যখন বুঝতে পারেন যে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে, তখন তিনি ব্যাঙ্ককে অভিযোগ দায়ের করে নির্দেশ দেন এরপর থেকে ঐ অ্যাকাউন্টের সমস্ত লেনদেন যাতে ফ্রিজ করে দেওয়া হয় এবং থানাতেও অভিযোগ জমা করেন তিনি।
এই জালিয়াতি থেকে বাঁচতে কী করবেন
যে কোনো কাস্টমার সার্ভিস ওয়েবসাইট বিশ্বাসযোগ্য কিনা তা দুবার যাচাই করে নিতে হবে। প্যান কার্ডের আবেদন বা অন্যান্য কাজকর্মের জন্য সরকারি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে যেমন NSDL, UTIITSL ইত্যাদি।
আধার, প্যান কার্ডের তথ্য, ব্যাঙ্কের সুরক্ষিত তথ্য কখনই কাউকে শেয়ার করা যাবে না। কোনো অবৈধ বা সন্দেহভাজন ওয়েবসাইট কিংবা ব্যক্তিকে তা জানানো যাবে না।
সরকারি বা অফিসিয়াল কাস্টমার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কখনও এরকম গোপনীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয় না, ফলে এই ধরনের ফোন বা মেসেজ এলে সতর্ক থাকতে হবে।
আর এই ধরনের জালিয়াতির মধ্যে অজান্তে পড়ে গেলে সত্বর সাইবার অপরাধ দমন শাখায় জানাতে হবে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Multibagger Stock: ২ টাকারও কম দাম ছিল এই স্টকের, ৪ বছরে মুনাফা ৩০০০ শতাংশ ! কেনা ছিল ?