Ankita Adhikari: শিক্ষা-দুর্নীতি মামলায় চাকরি হারানো অঙ্কিতা অধিকারীকে নেতার পদ তৃণমূলের
Cooch Behar TMC: কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক পদে আনা হল পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: শিক্ষা দুর্নীতি (SSC Scam Case) মামলায় আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছিলেন তিনি। এবার রাজনীতির ময়দানে সেই অঙ্কিতা অধিকারী। যিনি মেখলিগঞ্জের বিধায়ক এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে। এবার অঙ্কিতা অধিকারীকে (Ankita Adhikari) কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক পদে নিয়োগ করা হল। শুক্রবার,কোচবিহার জেলা তৃণমূল পার্টি অফিসে তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দেব ভৌমিক।
আনুষ্ঠানিকভাবে এদিন তৃণমূলের নেতৃত্বে এলেও, দলের সঙ্গে তাঁর সংস্রব আগেই ঘটেছে। এই বছরেই যে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে, সেখানে সক্রিয়ভাবে দলের কাজ করেছিলেন তিনি। মেখলিগঞ্জ বিধানসভা এলাকা পরে জলপাইগুড়ি লোকসভা অঞ্চলের মধ্যে। ওই লোকসভা ভোটে নিজের বিধানসভা এলাকায় দলের হয়ে কাজ করেছিলেন অঙ্কিতা। এবার সরাসরি দলের পদ পেলেন। যে সময় এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে সারা রাজ্য তোলপাড়। প্রায় প্রতিদিনই আদালত কোনও না কোনও নির্দেশ দিচ্ছে বা পর্যবেক্ষণের কথা বলছে। সেই সময় একটি মামলায় আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছিল অঙ্কিতা অধিকারীর। শিক্ষা দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় আদালতের নির্দেশে চাকরি যাওয়ার ঘটনা তিনিই রাজ্যে প্রথম।
কী বললেন অঙ্কিতা:
এদিন দলের পদ পেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী বলেন, 'আজকে কোচবিহারের জেলা সভাপতির নির্দেশে আমায় যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা সুষ্ঠুভাবে পালন করার চেষ্টা করব। বিগত লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে বাবার সঙ্গে প্রচারে বেরিয়েছিলাম এবং দলকে যেভাবে সঙ্গে পেয়েছি। আগামী দিনেও যে নির্বাচন আসছে তাতেও সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব।'
জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, 'এই বিধানসভা কেন্দ্রে গত নির্বাচনে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন। ওঁদের পরিবার একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, পরেশ অধিকারীর ছেলের অকালপ্রয়াণ হয়। তার ফলে অঙ্কিতাকে সময় দিতে হচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা এলাকায় আমরা জয় পেয়েছি। আমাদের পাশে থেকেছেন এখানকার বাসিন্দারা। এই জয়ের জন্য অঙ্কিতা অধিকারীকে আমরা এই পদ দিচ্ছি।'
বিজেপির প্রতিক্রিয়া:
এই ঘটনায় কটাক্ষ করেছেন কোচবিহারের বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু। তাঁর দাবি, 'তৃণমূল যে দুর্নীতিগ্রস্ত দল এই ঘটনায় ফের প্রমাণিত হল। শিক্ষা দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে যারঁ চাকরি গিয়েছিল। তাঁকেই দলের নেতার পদ দেওয়া হল।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: 'এবার কেন্দ্রের সরকার কিন্তু...', মুম্বই থেকে মমতার কথায় কীসের ইঙ্গিত?