Primary TET: ৪০ পেরিয়েও TET ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ, আদালতের হস্তক্ষেপে মুখে হাসি ফুটল নেফাউরের
Calcutta High Court: ২০২১ সালে TET-এর ইন্টারভিউয়ের জন্য নেফাউরকে পাঠানো হলেও, ততদিনে বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে তাঁর।
![Primary TET: ৪০ পেরিয়েও TET ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ, আদালতের হস্তক্ষেপে মুখে হাসি ফুটল নেফাউরের Calcutta High Court allows a man to sit for primary teacher job even though he is over 40 Primary TET: ৪০ পেরিয়েও TET ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ, আদালতের হস্তক্ষেপে মুখে হাসি ফুটল নেফাউরের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/11/01/eb512b69dc1db8990e8856119d0a6f5d1667320660333338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
করুণাময় সিংহ, মালদা: বয়সসীমা উত্তীর্ণ এক চাকরিপ্রার্থীর সুযোগ মিলল TET-এর ইন্টারভিউতে বসার (Primary TET)।টেটে নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগে (Calcutta High Court)আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা, চাকরিপ্রার্থী নেফাউর শেখ। আদালতের রায়ে মুখে হাসি ফুটেছে নেফাউরের।
৪০ পেরনো চাকরিপ্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ করে দিল হাইকোর্ট
৪০-এর গণ্ডি পেরোনোয় সুযোগ হারিয়েছিলেন TET-এ ইন্টারভিউতে বসার। হাইকোর্টের নির্দেশে এখন আশার আলো দেখছেন, মুর্শিদাবাদের নেফাউর শেখ। টেটে নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের এই চাকরিপ্রার্থী।
সোমবার নেফাউরকে চাকরির ইন্টারভিউতে সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।
আদালতের রায়ে আশার আলো দেখছেন নেফাউর। তিনি বলেন, "পর্ষদের গাফিলতিতে আমাকে হেনস্থা হতে হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে আমি খুশি। তাই আবার ইন্টারভিউ দিতে পারব।"
আরও পড়ুন: Cattle Smuggling Case: ঘুরপথে কোটি কোটি চাকার লেনদেন! গরুপাচারে সিবিআই নজরে কলকাতার চার সংস্থা
নেফাউর শেখের দাবি, ২০১৪-য় TET দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পাস করতে পারেননি। পরে জানতে পারেন, ৬টি প্রশ্ন ভুল এসেছিল। এর পর, ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে বলে, ২০১৬ সালে, আদালতে মামলা করেন তিনি।মুর্শিদাবাদের এই চাকরিপ্রার্থীর দাবি, অতিরিক্ত ৬ নম্বর পেয়ে TET-এ পাস করেন।
২০২১ সালে TET-এর ইন্টারভিউয়ের জন্য নেফাউরকে পাঠানো হলেও, ততদিনে বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে তাঁর। ফলে, ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পারেননি নেফাউর। এর পরই, মামলা করে তিনি দাবি করেন, পর্ষদের ভুলের জন্য বঞ্চনার শিকার হয়েছেন।
এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে নেফাউর বলেন, "২০১৪ সালে আমি টেট পরীক্ষা দিই। ২০১৬ সালে জানতে পারি পাস করিনি। পরে জানতে পারি ৬টি প্রশ্ন ভুল এসেছিল। হাইকোর্টে মামলা করি। সেই মামলার রায়ে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে ৬ নম্বর যোগ হয়। এর পর পাস করি। ২০২১-এর ডিসেম্বরে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। সেই সময় আমাকে জানানো হয়, আমার চাকরির বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। এরপর আমি আবার হাইকোর্টে কেস করি। ২০১৪ সালে বয়স ছিল ৩৮ বছর। পর্ষদের গাফিলতিতে আমাকে হেনস্থা হতে হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে আমি খুশি। তাই আবার ইন্টারভিউ দিতে পারব।"
বাকিদের কী হবে, উঠছে প্রশ্ন
এ দিকে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর প্রশ্ন উঠছে, ৪০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পরও যাঁরা ইন্টারভিউতে বসতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন কিংবা আন্দোলন করছেন, তাঁদের কী হবে? এই মুহূর্তে প্যারাটিচার হিসেবে একটি স্কুলে কর্মরত নেফাউর। হাইকোর্টের রায়ে হারানো স্বপ্ন ফিরে পাওয়ার আশায়, মুখে হাসি ফুটেছে মুর্শিদাবাদের এই চাকরি প্রার্থীর।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)