Kolkata News: জমা জলে 'বিদ্যুৎস্পৃষ্ট' হয়ে ভবানীপুরে যুবকের মৃত্যু
Kolkata Youth Death On Electrocution : জমা জলে 'বিদ্যুৎস্পৃষ্ট' হয়ে ভবানীপুরের জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে যুবকের মৃত্যু
কলকাতা: জমা জলে 'বিদ্যুৎস্পৃষ্ট' হয়ে ভবানীপুরে যুবকের মৃত্যু। ভবানীপুরের জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে যুবকের মৃত্যু। দোকানের পাশে পাঁচিলে হাত দিতেই ব্যবসায়ীর মৃত্যু। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই সৌরভ গুপ্ত নামে যুবকের মৃত্যু, দাবি স্থানীয়দের। এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত পুরসভা কিংবা CESC-র প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
চলতি বছরেই 'বিদ্যুৎস্পৃষ্ট' হয়ে মৃত্যু হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান। সেবারেও খলনায়ক ছিল ঝড়। ঝড়ে ভেঙে পড়া কলাগাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্য়ু হয়েছিল বাবা-ছেলের। কলাগাছের গায়ে বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে ছিল, তারের সংস্পর্শে আসাতেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বাবা, বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কলানবগ্রাম এলাকায়। মৃতের পরিবাসূত্রে জানা গিয়েছিল, ঝড়ে ভেঙে পড়া কলাগাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে আসতেই ঘটে গিয়েছিল মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। মৃত ব্যাক্তিদের নাম ফড়ে সিং(৬৪) ও তরুন সিং(৩০)। সম্পর্কে তাঁরা বাবা ও ছেলে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, রেমালের তাণ্ডবে ভেঙে যাওয়া কলা গাছ কাটতে গিয়ে প্রথমে বাবা ফড়ে সিং, বিদ্যুৎ বাহিত তারের সংস্পর্শে চলে এসেছিলেন। বাবাকে বাঁচাতে এসে তরুন সিং তিনিও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েছিলেন। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে বড়শুল হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাবা ও ছেলে দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণ করা হয়।
মর্মান্তিক মৃত্যুর মুখোমুখী হয়েছে কলকাতা। এন্টালির বিবির বাগানে বাড়ির কার্নিশের চাঙড় ভেঙে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।ক্যামাক স্ট্রিটেও ভেঙে পড়ে বাড়ির একাংশ। প্রসঙ্গত প্রতিবছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। কখনও বাজ পরে মৃত্যুর মুখোমুখী হয় অনেকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চাষীরা এমন ধরণের ঘটনার সম্মুখীন হন। ফাঁকা জমি, বা মাঠে বাজ পড়ে মৃত্যুর ভুরিভুরি ঘটনা রয়েছে বাংলায়।
আরও পড়ুন, জলমগ্ন আগেও বহুবার, দানা যেতেই 'নিকাশি' নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে পূর্ব বর্ধমান
এর আগে কলকাতা, সল্টলেক একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্য়ুর ঘটনার উদাহরণ রয়েছে। অনেকক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেটে গিয়েছে। তারপর বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে শহরের অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ এর খোলা তার এবং বৃষ্টির জমা জল খলনায়ক হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির জলে এমনিতেই অ্যাসিডিক মাত্রা থাকায় শরীরের সংস্পর্ষ আসা মাত্র দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।