Dhupguri Bypoll Result: 'সাগরদিঘি নিয়ে বলেছিলাম জেতার সম্ভাবনা প্রবল, ধূপগুড়ি নিয়ে বলিনি', জোটপ্রার্থীর 'পারফরম্যান্স' দেখে প্রতিক্রিয়া অধীর চৌধুরীর
PCC President Adhir Ranjan Chowdhury:'সাগরদিঘি নিয়ে আমরা বলেছিলাম জেতার সম্ভাবনা প্রবল, ধূপগুড়ি নিয়ে কখনও বলিনি', জোটপ্রার্থীর ফলাফলের গতিপ্রকৃতি দেখে মন্তব্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর।
কলকাতা: 'সাগরদিঘি নিয়ে আমরা বলেছিলাম জেতার সম্ভাবনা প্রবল, ধূপগুড়ি (Dhupguri Bypoll Result) নিয়ে কখনও বলিনি', জোটপ্রার্থীর ফলাফলের গতিপ্রকৃতি দেখে মন্তব্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (PCC President Adhir Ranjan Chowdhury)। এখনও পর্যন্ত যা সার্বিক চিত্র তাতে বিজেপির সঙ্গে 'কাঁটে কা টক্কর' তৃণমূলের। কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী অনেকটাই পিছিয়ে।
কী ছবি?
বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত ৫ রাউন্ড গণনার ফলাফল জানা গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থীর থেকে ৯৬২ ভোটের 'লিড' বাড়ালেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। তবে এখনও আরও ৫ রাউন্ড গণনা বাকি। ছবিটা তাই অনেকটাই উল্টো-পাল্টা হয়ে যেতে পারে। যদিও চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান তাতে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৩৯ হাজার ৯৬। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে, ৩৮ হাজার ৭৩৬ ভোট। আর কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায় পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬টি ভোট। তৃণমূল ও বিজেপির ধারেকাছে নেই জোটের প্রার্থী। অথচ, ১৯৭৭-এ যেবার বামফ্রন্ট প্রথম রাজ্যের ক্ষমতায় আসে, সেই তখন থেকেই ধূপগুড়ি বিধানসভা ছিল বামেদের দখলে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অবশ্য বক্তব্য, 'ওখানে বিজেপি জিতেছিল। তাঁর বাড়িরই কেউ প্রার্থী হয়েছিলেন। ওখানে কখনওই আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিলাম না। কংগ্রেস-বামের জোট হলেও সেখানে উভয়েরই সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকট। আমরা কখনওই জেতার কথা বলিনি। ওই সিট নিয়ে আশাবাদীও ছিলাম না।'
পঞ্চায়েত ভোট...
হালেই পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ঝড়ের মুখেও যে বাম-কংগ্রেস জোটের ফলাফল রাজ্যের বিরোধী শিবিরে কিছুটা আশার আলো তৈরি করেছিল। বস্তুত, সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বায়রন বিশ্বাসের জয়ের পর থেকেই নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছিল বিরোধী শিবির। কিন্তু একসময়ে বামেদের দখলে থাকা ধূপগুড়িতে এবার যেন 'রোলার কোস্টার' যার এক দিকে বিজেপি, অন্য দিকে তৃণমূল। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী সেই লড়াইয়ে কোথাও যেন টিকতে পারছেন না, অন্তত তেমনই ইঙ্গিত চার রাউন্ডের পর। প্রসঙ্গত. ২০১৬-তে প্রথমবার বামেদের হারিয়ে এই কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূলের মিতালি রায়। তবে ২০১৯-এ উত্তরবঙ্গের নির্বাচনী সমীকরণ বদলে দেয় বিজেপি। গেরুয়া ব্রিগেডের দখলেই যায় জলপাইগুড়ি লোকসভা। যার ৭টি বিধানসভার একটি হল ধূপগুড়ি। এই কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৭৬৬ ভোটে এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। এর ২ বছর পরে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলেরই মিতালি রায়কে হারিয়ে ধূপগুড়ি বিধানসভা দখল করেন বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। তবে লোকসভার লিড অনেকটাই কমে যায়। জয়ের ব্যবধান নেমে আসে ৪ হাজার ৩৫৫-তে। এবার তুমুল লড়াই।