(Source: Poll of Polls)
Saumitra Khan: 'ব্যর্থ ব্যক্তিকে মানুষ পছন্দ করেন না', BJP-র কার্যসমিতির বৈঠকের আগে রদবদলের পক্ষে সওয়াল সৌমিত্রর
West Bengal BJP: নির্বাচনী ভরাডুবির জন্য সংগঠনকে দায়ী করলেন অর্জুন সিংহও।
কলকাতা: নির্বাচনী ভরাডুবি নিয়ে বৈঠকে রাজ্য বিজেপি। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে বিস্ফোরক দলের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রাজ্যে সাংগঠনিক রদবদলের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। বললেন, "কোনও ব্যর্থ ব্যক্তিকে মানুষ দেখতে পছন্দ করে না।" নির্বাচনী ভরাডুবির জন্য সংগঠনকে দায়ী করলেন অর্জুন সিংহও। মাঠে নেমে লড়াইয়ের ডাক দিলেন তিনি। (Saumitra Khan)
লোকসভার পর বিধাবসভা উপনির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি-র। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই বুধবার বিজেপি-র কার্যসমিতির বৈঠক বসছে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েই নিজের মতামত জানান সৌমিত্র। দলে সাংগঠনিক রদবদলের পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। প্রকাশ্যেই নিজের মতামত জানিয়ে দিলেন। (West Bengal BJP)
এদিন সৌমিত্র বলেন, "সাংগঠনিক রদবদলের প্রয়োজন আছে নিশ্চয়ই। কোনও ব্যর্থ মানুষকে দেখতে পছন্দ করেন না মানুষ। দলে নতুনদের সুযোগ দিতে হয়। আমার মনে হয়, সাংগঠনিক পরিবর্তনের দরকার। তাই এই বৈঠক হয়। দিল্লির এটা নিয়ে বাবা উচিত। গ্রামের মানুষের কাছে প্রচার করতে হবে যে, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, সব কেন্দ্রের। সঠিক দিশা দেখাতে পারলে হবে, নইলে পুরো ফেল করে যাব।"
আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: 'ED-CBI দিয়ে গ্রেফতার করালেই হবে না, জেতার জন্য চাই সংগঠন', দলকে বার্তা সুকান্তর
বিজেপি-র সংগঠনকে কাঠগড়া তুলেছেন অর্জুনও। তাঁর বক্তব্য, "২০২৬-এ কীভাবে ভোট হবে, কীভাবে লড়াই হবে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়া হবে। বাংলায় ভোট হয় না, করাতে হয়। ওই ভোট করানোর জন্য মাঠে নেমে লড়াই করতে হবে। মাঠে নামার কথাই বলেছিলাম আমি। শুধু বাড়িতে বসে আলোচনা করলাম, অথচ কিছু কার্যকর হল না... তাহলে পশ্চিংবাংলায় অসম্ভব। সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে বলেই ভোট করা যাচ্ছে না। দুর্বলতা তো আছেই! কোনও সন্দেহ নেই। সেটা ঠিক করতে হবে।"
এ নিয়ে বিজেপি-কে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সিংহ। তাঁর কথায়, "এর আগেও উনি (সৌমিত্র) বলেছিলেন, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি অযোগ্য এবং শিক্ষানবীশ। লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে, কোনও রকমে কান ঘেঁষে জেতার পরও একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন উনি। সৌমিত্রবাবু শুধু নন, নেতৃত্বের উপর অনাস্থা দেখাচ্ছেন অনেকেই। ২০২৬ সালে মানুষের আশীর্বাদে, চতুর্থ বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার লক্ষ্যে এবং ২৫০ আসনের লক্ষ্য়ে নামব আমরা। তার আগে যদি বিজেপি নিজেই লড়াই করতে করতে শেষ হয়ে যায়...সিপিএম-কংগ্রেস শেষ হয়ে গিয়েছে, বিজেপি শেষ হয়ে গেলে, তৃণমূল লড়বে কার সঙ্গে? "
সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "অর্থহীন আলোচনা। বিজেপি-কে মাঠে নেমে লড়াই করতে কে বারণ করেছিল জানি না। বরং পশ্চিমবঙ্গে যেন বিজেপি একাই বিরোধী দল, বাকি আর কেউ নেই! তৃণমূলও তাই চাইছিল, মানুষও ভোটে তাই রায় দিয়েছেন। সংখ্যার বিচারে বিজেপি-ই তো বিরোধী! কিন্তু তাদের লড়াইও নেই, আন্দোলনও নেই, ইস্যুও নেই। কে, কত বড় নেতা হবেন, সেই নিয়ে লড়াই। তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে গিয়ে সামান্য ভোটে জিতেছেন সৌমিত্র। এখন তিনি রদবদল নিয়ে কথা বলছেন, ব্যর্থদের দেখতে চান না বলছেন। অর্জুন বিজেপিতে গেলেও তৃণমূলের মনোভাব কাজ করছে। একউই ঘরের মধ্যে কখনও সরকারের পক্ষে, কখনও বিরুদ্ধে। এই যদি বিজেপি-র হাল হয়, বাস্তব বিবেচনায় রাজ্যে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ বিজেপি।"