SSC Job Case: চাকরি বাতিল মামলায় 'ফ্রেশ রিক্রুটের' দাবি, তার মানে কী বোঝালেন বিকাশরঞ্জন ; শুনানিপর্ব শেষে কী বক্তব্য আইনজীবীর ?
Teachers Reactions: এদিকে ৬ বছর শিক্ষকতা করার পর এই দাবি ওঠায়, এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষকরা তথা ওই প্যানেলে চাকরিপ্রাপকরা।

নয়াদিল্লি : 'তাহলে ফ্রেশ রিক্রুট করো। সেটা নিয়ে বিচারপতিদের ধারণা ছিল, ফ্রেশ রিক্রুটি মানে আবার সবাইকে ডাকবে। সেটা ক্ল্যারিফাই করলাম।' SSC-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে শুনানি পর্ব শেষে এমনই জানালেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, "সমস্ত নিয়োগটাই বেআইনি। মেরিট-ডিমেরিটের প্রশ্ন আসে না। তাহলে ফ্রেশ রিক্রুট করো। সেটা নিয়ে বিচারপতিদের ধারণা ছিল, ফ্রেশ রিক্রুটি মানে আবার সবাইকে ডাকবে। সেটা ক্ল্যারিফাই করলাম। সবাইকে কেন ? যাঁরা তখন অ্যাপিয়ার করেছিলেন, তাঁদেরই আবার চান্স দেওয়া হোক। তাঁরা ফ্রেশ পরীক্ষা দিয়ে আসবেন। তার জন্য যদি বয়সটা কোনও বাধা হয়, সেটাকে খণ্ডন করে দাও। সেগ্রিগেশন সম্ভব নয়। সমস্ত প্রক্রিয়াটাই বেআইনি হয়েছে। যখন কোনও প্রক্রিয়া বোইনি হয়, সেখান থেকে ভালো-মন্দ বাছা যায় না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে কিছু ভালো ছেলে-মেয়ে হয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন যদি বিচারপতিরা আমাদের সঙ্গে থাকেন, তাহলে যাতে ফ্রেশ এঁরাই সিলেক্ট হয়ে আসতে পারেন, সেজন্যই বক্তব্য রেখেছি।"
তাঁর সংযোজন, "প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি এই জন্যই, দুর্নীতিটা হয়েছে মূলত সরকার এবং এসএসসির মদতে। সুপ্রিম কোর্টকে সবাইকে ব্যাখ্যা করে দেখেছি। তা নাহলে হঠাৎ করে সুপার নিউমারারি পোস্ট তৈরি করবে কেন ? সুপার নিউমিরারি পোস্ট তৈরি করছে, বেআইনি নিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য। তাহেল যাদের দিয়ে অপরাধ করেছে, তাদের তো বাঁচাতেই হবে। তা নাহলে কোনও সরকার কখনো বেআইনি নিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করে ? যে পদ্ধতিতে সিলেকশন হয়েছে সবটাই একটা বেআইনি কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে। সেজন্য বলেছি, এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি।"
এদিকে ৬ বছর শিক্ষকতা করার পর এই দাবি ওঠায়, এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষকরা তথা ওই প্যানেলে চাকরিপ্রাপকরা। এ প্রসঙ্গে এক শিক্ষিকা বলেন, "নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। কারণ, আমরা একটা পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে পাস করে নিযুক্ত হয়েছি। তার পরেও যে বিভিন্ন ভেরিফিকেশন হয়েছে, সেখানেও ডকুমেন্ট দিয়েছি। এমনকী সিবিআই ভেরিফিকেশনেও ডকুমেন্ট দিয়েছি। সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় বসার কোনও প্রশ্নই নেই। যিনি নতুন করে পরীক্ষায় বসার কথা বলেছেন অর্থাৎ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর প্রতি আমার প্রশ্ন, তাঁকে নতুন করে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বললে তিনি কি পাস করতে পারবেন ?" অপর এক শিক্ষিকা বলেন, "তাঁর সময় যে এরকম দুর্নীতি হয়নি, সেটারই বা কী প্রমাণ রয়েছে। তখন যে দুর্নীতি হয়নি তা তো আমরা কেউ দেখতে যাইনি। তিনি যে কোনও দুর্নীতির মাধ্যমে এ জায়গায় পৌঁছায়নি এনিয়ে আমাদের কাছেও কোনও প্রমাণ নেই।" অপর আরও এক শিক্ষিকা বলেন, "উনি রি-এক্সামিনেশনের কথা বলছেন, উনি দাবি রাখতেই পারেন। কিন্তু, আমাদের এখানে বক্তব্য, এই দাবিটা তাঁদের ক্ষেত্রে রাখা হোক যাঁরা বেআইনি ক্যান্ডিডেট। যাঁরা বেআইনিভাবে নিযুক্ত হয়েছেন। তাঁদের তো শনাক্ত করা হয়েছে।"
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
