Suvendu Adhikari: রাজভবনের সামনে তৃণমূলের ধর্না, তীব্র আক্রমণে বিরোধী দলনেতা
West Bengal News: আঞ্চলিক দল তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের এক একটি স্তম্ভকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে। সোশাল মিডিয়ায় আক্রমণ বিরোধী দলনেতার।
কলকাতা: রাজভবনের (Rajbhawan) সামনে অভিষেকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব তৃণমূলের ধর্না নিয়ে তীব্র আক্রমণে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আঞ্চলিক দল তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের এক একটি স্তম্ভকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে। সোশাল মিডিয়ায় আক্রমণ বিরোধী দলনেতার।
তীব্র আক্রমণে শুভেন্দু অধিকারী: ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে গতকাল দুপুর থেকে রাজভবনের সামনে ধর্নাস্থলে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সারারাত ধর্নামঞ্চেই কাটিয়েছেন অভিষেক। আর এই ধর্না নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, "রাজভবনের ১৫০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকে, পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে সেখানে নিজেদের মিছিল নিয়ে ঢুকে শুধু ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনই করেননি, সেখানে ক্যাম্পও করেছে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের নিরাপত্তা সস্তার রাজনৈতিক নাটকের জন্য বিপন্ন হচ্ছে। আর এতে পুলিশ সহযোগিতা করছে।''
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে প্রথমে কলকাতা থেকে দিল্লিতে কর্মসূচি, সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে রাজভবন অভিযান করে তৃণমূল। ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া এবং পুলিশি হেনস্থার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযান করে শক্তি প্রদর্শন করে তৃণমূল। কিন্তু, তৃণমূল যখন রাজভবন অভিযান করল, তখন রাজ্যপাল ছিলেন উত্তরবঙ্গে। আবার সেখান থেকেই ফিরে যান দিল্লিতে। আর ধর্না মঞ্চ থেকেই গতকাল গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। জানান রাজ্য়পাল দেখা না করা পর্যন্ত ধর্না চলবে। রাতভর সেখানেই ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গভীর রাতে অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে যান স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "রাজ্য়পাল যতক্ষণ না আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, আমরা এই ধর্নামঞ্চ ছেড়ে যাব না। আমরা এখানেই থাকব। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে চালাব, আমি এখানেই রাত কাটাব, এখানেই বসে থাকব। মোদি সরকারের যা জেদ, তার ১০ গুণ জেদ আমার। বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আপনি একটা ফোনে সাক্ষাৎ করার সময়ের জন্য় অ্য়াপয়েন্টমেন্ট দিতে পারেন। আর ২-৩ বার লিখিত মেল পাঠানো, চিঠি দেওয়ার পরও আমাদের সাক্ষাৎ দেওয়া হচ্ছে না। আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ধর্না, আমাদের কর্মসূচি চালাব। আমরা আজকে রাত ৯টা অবধি কর্মসূচি চালাব। তারপর আজকের মতো কর্মসূচি শেষ হবে। কাল সকাল ১১টা থেকে আবার কর্মসূচি শুরু হবে। আর আমি এখানেই থাকব। একচুল কোথাও নড়ব না। যতক্ষণ আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্য়পাল সাক্ষাৎ করে, আমাদের দুটো প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন।''